শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
"পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা” ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ আমরা একজোট হয়ে ভারতকে জবাব দেব: মাওলানা ফজলুর রহমান পটিয়ার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান দানিশের ইন্তেকাল নারী সংস্কার কমিশনের কিছু ধারা কোরআন-সুন্নাহর খেলাপ: জামায়াত আমির  ‘নারী সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা’ ঐতিহাসিক দারোগা বাগানের ৩ একর জায়গা উদ্ধার করলেন বন বিভাগ  পেহেলগাম হত্যার তীব্র নিন্দা দারুল উলুম দেওবন্দের অবশেষে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করল পাকিস্তান হজযাত্রায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর!

‘নির্বাচনী চাপ প্রয়োগে সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করা গাদ্দারির সমতুল্য’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, মুক্তি, সাম্য, সুশাসন ও সমৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলের মানুষ ৪৭ ও ৭১ এ দুই দফা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে। ৯০ তে স্বৈরাচার উৎখাত করেছে। তারপরেও দেশে হাসিনার মতো স্বৈরাচার তৈরি হয়েছিলো রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভঙ্গুরতার কারণে। ফলে আগামীর বাংলাদেশে নতুন স্বৈরাচারের পথ রুদ্ধ করতে সংস্কার অপরিহার্য। সংস্কারকে বাধাগ্রস্থ করে এমন কোন কিছুই  দেশবাসীর পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না।

আজ বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল গণমাধ্যমে পাঠানো  এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, হাসিনার মতো স্বৈরাচারের সূচনাও হয়েছিলো একটি নির্বাচনের মাধ্যমে। পতিত ফ্যাসিবাদও তিনটা নির্বাচন করেছে। তারপরেও জাতিকে ২৪ এ রক্ত উৎসর্গ করতে হয়েছে। এর অর্থ হলো, নির্বাচনই সমাধান না। বরং সংস্কারহীন নির্বাচন আরেকটি স্বৈরচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেবে। সেকারণে ইসলামী আন্দোলন পরিস্কার করে বারংবার দাবী জানাচ্ছে যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে তাতে সংস্কার বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক চাপে সংস্কারকে অসম্পন্ন রেখে নির্বাচন আয়োজন করলে শতশত শহীদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করা হবে। অভ্যুত্থানে আহতরা এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, এই সরকার একটি অভ্যুত্থানের উত্তরাধিকার বহন করছে। ফলে সেই অভ্যুত্থানের দাবী ও চেতনা বাস্তবায়ন করা তাদের দায়িত্ব। আজকে যারা সংস্কারকে গৌন করে নির্বাচনের জিগির তুলেছে; ২৪ এর অভ্যুত্থানে তাদের অবদান স্বীকার করার পরেও বলতে হবে, ২৪ এ সাধারণ ছাত্র-জনতা এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক শক্তির অবদানই ছিলো প্রধান ও মূখ্য। ফলে এখন ক্ষমতাকেন্দ্রীক দলগুলোর চাপে অভ্যুত্থানের প্রধান ধারার চিন্তা ও চেতনাকে জলাঞ্জলি দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই নির্বাচন নয় বরং সংস্কারকে মূখ্য করেই সরকারকে তাদের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।

নির্বাচন নিয়ে চাপ তৈরি করা দলসমূহের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, আপনার দলের নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন আয়োজন করে দেখুন। তাতেই দেখা যাবে রাজনৈতিক হানাহানি ও সংহিংসতা কি তীব্র ও হিংস্র আকারে এখনো বিরাজমান। এই বাস্তবতায় জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারো সহিংস ও হিংস্র রাজনীতির মধ্যে ঠেলে দেয়ার জন্য ২৪ এ ছাত্র জনতা রক্ত দেয় নাই।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ