শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৪ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের  সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডে ইসলামী ছাত্র মজলিসের তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা, আহত ৩ শুল্কবৃদ্ধিতে দিশেহারা ভারত, বাণিজ্য আলোচনায় রাজি নয় ট্রাম্প সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডে খেলাফত মজলিসের উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ জুমার দিনে দোয়া কবুলের মুহূর্ত ও গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে?‌‌‌‌ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে আজকের জুমার ইমামতিতে থাকছেন যারা ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল কম্বোডিয়া আজকের এই দিনে ইন্তেকাল করেছেন শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ নোয়াবের


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। সংগঠনের সভাপতি এ কে আজাদ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা ঘিরে ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ঘটনাসহ সামগ্রিকভাবে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এসব পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ কে আজাদ বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সম্প্রতি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে (আগস্ট ২০২৪ - জুলাই ২০২৫) ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৬৬ জনকে গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, দায়িত্ব পালনের সময় তিনজন সাংবাদিক নিহত, কমপক্ষে ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত এবং ৮টি পত্রিকার সম্পাদক ও ১১টি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ একটি অবাধ, সুশাসনভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্যপ্রকাশের অধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে গত এক বছরে সে প্রত্যাশার বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি।”

জনকণ্ঠ পত্রিকায় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, “আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি—একটি সংগঠিত গোষ্ঠী (‘মব’) গঠন করে উদ্যোক্তাদের কার্যালয়ে গিয়ে উচ্ছেদ ও দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছে। কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তা শ্রম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতো, আর সংবাদ বা কনটেন্ট নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করা যেত। কিন্তু এসব পথ না মেনে পত্রিকার অফিস ও অনলাইন পোর্টালে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।”

এ কে আজাদ বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে তা শুধু একটি পেশার সংকট নয়—বরং তা গোটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই দুর্বল করে তোলে।”

নোয়াবের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জোরালোভাবে দাবি জানাই—গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর ও নিরপেক্ষ পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে গঠনমূলক সংলাপের বদলে হুমকি, ভয়ভীতি বা ‘মব’ কালচার চালু হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি শেষ করেন এই বলে, “আমরা বিশ্বাস করি—সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং তথ্যপ্রবাহের স্বাধীনতা রক্ষা করা গেলে গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও মজবুত হবে এবং একটি সভ্য, সহনশীল সমাজ গঠনের পথ প্রশস্ত হবে।”

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ