মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নির্ভর করছে আফগানের ওপনের: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিমাবন্দরে আগুন ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাশকতার অংশ : আমান উল্লাহ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় ‘সন্তুষ্ট’ শিক্ষকরা, আন্দোলন স্থগিত বিএনপির সাথে মার্কিন আইআরআই প্রতিনিধিদলের বৈঠক আদর্শ সমাজ বিনির্মানে আলেম-ওলামা ও সমাজের বিশিষ্টজনদের এগিয়ে আসতে হবে : আব্দুল আউয়াল ‘নির্বাচনে খুব একটা উৎসাহিত না, করলে তিনটি আসনের কোনোটিতে করব’ রুপসার ইলাইপুরে হাতপাখা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার রোধে কেন্দ্রীয় সেল গঠনের ঘোষণা সিইসির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের অজুখানা নিয়ে সংঘর্ষ : আহত ২০, গ্রেফতার ৪ ইসলামি দলগুলো আদর্শিক দেউলিয়াপনার পরিচয় দেয় কেন?

ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখান করলো শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

‘দেশের মসজিদসমূহের সভাপতি হবেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ’—ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের এমন বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও ইসলামের পরিপন্থী আখ্যায়িত করে তা ঘোরতরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইমাম-খতীবদের সংগঠন শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সংগঠনের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এতে বলা হয়, খুলনার বয়রায় মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা যেই প্রস্তাব দিয়েছেন, তা মসজিদভিত্তিক সমাজব্যবস্থায় শঙ্কা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুফতি শামীম মজুমদার বলেন, "ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। আমরা মনে করি, এ বক্তব্য ইসলামী শরিয়তের শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং তা বাস্তবায়ন হলে মসজিদপ্রেমী তৌহিদি জনতার মনে ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, "মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব ডিসি ও ইউএনওদের ওপর অর্পণ করা হলে বহু স্থানে অমুসলিম কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন, যা কুরআনের নির্দেশনার পরিপন্থী। সূরা তাওবার ১৮ নম্বর আয়াত অনুযায়ী, মসজিদ পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঈমান, তাকওয়া ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস থাকা অপরিহার্য।"

সংগঠনটির  চেয়ারম্যান  আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে মসজিদে জমি ও অর্থ অনুদান প্রদানসহ সামাজিকভাবে মসজিদ নির্মাণে মানুষের আগ্রহ কমে যেতে পারে। একইসাথে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের মিম্বারে খতীবদের কণ্ঠরোধ করার প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে ধর্ম উপদেষ্টাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয় এবং মসজিদ পরিচালনার ক্ষেত্রে দেশবরেণ্য আলেম ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করে গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি জানানো হয়। যাতে মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব থাকে সমাজের ইমানদার, অবিতর্কিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ