মসজিদ কমিটিতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সভাপতি হওয়ার ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদপত্রে যে খবর বেরিয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ‘বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে’ শিরোনামে ধর্ম উপদেষ্ট লিখেন-
আজ খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য মিডিয়ায় যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি।
সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলে মুসলিম এডিসি বা মুসলিম এসি ল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা হলেও একই নিয়ম।
মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে। সুতরাং এর নিয়ন্ত্রণভার থাকবে সরকারের হাতে।
অপর দিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ বেসরকারি মসজিদের কমিটি, সভাপতি, সেক্রেটারি কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন মুসল্লি, মোতওয়াল্লি ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ডিসি অথবা ইউএনও সভাপতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এসব মসজিদ তো বেসরকারি। সরকার এসব মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে না।
তবে কোনো কমিটির সাথে ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনের যদি বিরোধ দেখা দেয় বা সংকট তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবেন।
এটাই হলো মূল প্রতিপাদ্য।
আরএইচ/