একাত্তরে পর বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানের মধ্যে এখন অবদি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৪১ পাকিস্তানি নাগরিক দেশে ফিরে গেছে। তবে এখনও বাংলাদেশে আটকে আছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৭ পাকিস্তানি নাগরিক, যাদের বসবাস বাংলাদেশের ১৪ জেলায় ৭৯টা ক্যাম্পে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসি বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেড় দশকের আগে আমরা বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়টা নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৪১ পাকিস্তানি নাগরিক সেখানে ফিরে গেছেন। আর বাকি আছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৭ জন, যারা বাংলাদেশের ১৪ জেলায় ৭৯টা ক্যাম্পে বসবাস করছে।
পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওয়া ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব জানান, বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যানের একটা হিসাব অনুযায়ী, ৪ হাজার মিলিয়িন ইউএস ডলার পাওনা। আরেকটা হিসাবে বলা আছে, ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন; এটা একটা। আমরা আজকের আলোচনায় এই ফিগারটা বলেছি। আরেকটা হচ্ছে, ১৯৭০ সারের নভেম্বরে যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয় সেখানে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র ও এজেন্সি ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থ দান করেছিল, সেটার হিস্যা আমরা চেয়েছি।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৫ বছর পর আজ ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ দেশটির পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। আর ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন নেতৃত্ব ছিলেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে উভয়পক্ষের আলোচনা।
এমএইচ/