মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনি লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন মসজিদ পরিচালনার নতুন অ্যাপ মাসাজিদ হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা জাকির নায়েককে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে স্মারকলিপি সুদান সংঘাত: নেপথ্যে আমিরাত-ইসরায়েল? ‘মতানৈক্য থাকতে পারে, কিন্তু মতবিরোধ যেন না হয়’, দেশে ফিরে জামায়াত আমির ইবনে শাইখুল হাদিসের পছন্দের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নেপথ্যে কী? ধানের শীষের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা! ইসরায়েলপ্রীতি ছাড়লেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সম্ভব: খামেনি আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়া-তুরস্ক সম্পর্কের নতুন মোড়

শিশুদের কৃমি সংক্রমণ — কারণ ও প্রতিকার  

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান  

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যে কৃমি একটি সাধারণ ও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি শিশুদের পুষ্টিহীনতা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সময়মতো চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।

কৃমি সংক্রমণের কারণ:  
১. অপরিচ্ছন্নতা: শিশুরা মাটি, ধুলো কিংবা নোংরা জিনিসে খেলার সময় সহজেই কৃমির ডিম মুখে তুলতে পারে।  
২. জলবাহিত সংক্রমণ: অপরিষ্কার পানি পান বা সেই পানি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার ফলে কৃমি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।  
৩. খাবারের মাধ্যমে: ধোয়া হয়নি বা সঠিকভাবে রান্না না হওয়া খাবার থেকে সংক্রমণ হয়।  
৪. পায়খানা ব্যবস্থার অভাব: উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ এবং তার সংস্পর্শে শিশুদের আসা কৃমি সংক্রমণ বাড়ায়।  
৫. নখ কামড়ানো: হাত না ধুয়ে খাওয়া ও নখ কামড়ানোর মাধ্যমে কৃমির ডিম শরীরে প্রবেশ করে।

প্রভাব:  
- পেটব্যথা, বমি, অরুচি  
- অপুষ্টি ও ওজন কমে যাওয়া  
- রক্তস্বল্পতা ও দুর্বলতা  
- মানসিক অস্থিরতা ও স্কুলে মনোযোগে ঘাটতি

প্রতিরোধ ও করণীয়:  ছয় মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা (বিশেষ করে খাবারের আগে ও টয়লেটের পর)। নিরাপদ পানি ব্যবহার ও রান্না করা খাবার খাওয়া। শিশুদের নখ ছোট রাখা ও পরিষ্কার থাকা্। স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন-এর মাধ্যমে কৃমি প্রতিরোধ করা যায়।

সঠিক সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং নিয়মিত কৃমিনাশক গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুরা পাবে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ