শিশুদের কৃমি সংক্রমণ — কারণ ও প্রতিকার  
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:২৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান  

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের মধ্যে কৃমি একটি সাধারণ ও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি শিশুদের পুষ্টিহীনতা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সময়মতো চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।

কৃমি সংক্রমণের কারণ:  
১. অপরিচ্ছন্নতা: শিশুরা মাটি, ধুলো কিংবা নোংরা জিনিসে খেলার সময় সহজেই কৃমির ডিম মুখে তুলতে পারে।  
২. জলবাহিত সংক্রমণ: অপরিষ্কার পানি পান বা সেই পানি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার ফলে কৃমি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।  
৩. খাবারের মাধ্যমে: ধোয়া হয়নি বা সঠিকভাবে রান্না না হওয়া খাবার থেকে সংক্রমণ হয়।  
৪. পায়খানা ব্যবস্থার অভাব: উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ এবং তার সংস্পর্শে শিশুদের আসা কৃমি সংক্রমণ বাড়ায়।  
৫. নখ কামড়ানো: হাত না ধুয়ে খাওয়া ও নখ কামড়ানোর মাধ্যমে কৃমির ডিম শরীরে প্রবেশ করে।

প্রভাব:  
- পেটব্যথা, বমি, অরুচি  
- অপুষ্টি ও ওজন কমে যাওয়া  
- রক্তস্বল্পতা ও দুর্বলতা  
- মানসিক অস্থিরতা ও স্কুলে মনোযোগে ঘাটতি

প্রতিরোধ ও করণীয়:  ছয় মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা (বিশেষ করে খাবারের আগে ও টয়লেটের পর)। নিরাপদ পানি ব্যবহার ও রান্না করা খাবার খাওয়া। শিশুদের নখ ছোট রাখা ও পরিষ্কার থাকা্। স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন-এর মাধ্যমে কৃমি প্রতিরোধ করা যায়।

সঠিক সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং নিয়মিত কৃমিনাশক গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুরা পাবে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ।

এমএইচ/