সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ ।। ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক রাজনীতি, পিআর ও নিজের নির্বাচন ভাবনা নিয়ে যা বললেন মুফতি আলী হাসান উসামা জুলাই বিপ্লবে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ আ.লীগ-বিএনপিতে ফেরেশতা ঢুকলেও আজাজিল হয়ে বের হয়: শায়খে চরমোনাই জুলাই বিপ্লবে আলেম সমাজের সংগ্রামী অবদান অবিস্মরণীয় ইতিহাসে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: ধর্ম উপদেষ্টা বিমান বিধ্বস্ত: স্থগিত হলো ‘মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’র চিত্রপ্রদর্শনী ও ড্রোন শো  উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় স্থগিত প্রধান উপদেষ্টার কর্মসূচি মাইলস্টোন স্কুল দুর্ঘটনা, উদ্ধার তৎপরতা ও আমাদের করণীয় উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় খেলাফত মজলিসের শোক প্রকাশ  ‘জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি বাতিলে সরকারের ওপর আমরা চাপ অব্যাহত রাখব’ 

যে ৭ কাজ ঈমান ধ্বংস করে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাত প্রকার সর্বনাশী কাজ থেকে দূরে থাক। লোকেরা বলল, সেগুলো কী কী হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, এক. আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা, দুই. জাদু করা, তিন. অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, চার. সুদ খাওয়া, পাঁচ. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ, ছয়. যুদ্ধের ময়দান থেকে পালানো এবং সাত. মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। (রিয়াদুস সালেহিন : ১৮০২)।

আল্লাহর সঙ্গে শিরক বা অংশীদার সাব্যস্ত করা : শিরক এমন গোনাহ যা তওবা ছাড়া মাফ হয় না। আল্লাহ শিরক ছাড়া অন্য যেকোনো গোনাহ চাইলে মাফ করে দেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্যান্য গোনাহ যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন। যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করল, সে এক মহাঅপবাদ আরোপ করল।’ (সুরা নিসা : ৪৮)।

জাদু করা : জাদুবিদ্যা শিক্ষা এবং তা বাস্তবায়ন করা গোনাহের কাজ। এ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত ঘোষণা সুস্পষ্ট। আল্লাহতায়ালা বাবেল শহরে হারুত ও মারুত নামক দুজন ফেরেশতা পাঠিয়েছিলেন জাদুবিদ্যা শিক্ষা দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা শিখতে নিরুৎসাহিত করত। অগত্যা কেউ জোরাজোরি করলে তাকে তা শিক্ষা দিত এবং বলে দিত এগুলো কুফরি। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যাকেই জাদু বিদ্যা শিখাত, তাকে বলে দিত যে তোমরা (জাদু শিখে) কুফুরি করো না। নিশ্চয় আমরা তোমাদের জন্য পরীক্ষা।’ (সুরা বাকারা : ১০২)।

অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা : আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, তাকে হত্যা করলে ঈমান চলে যায়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করো না।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৩)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ? ছাড়া আর কোনো উপাসক? নেই এবং আমি আল্লাহ?র রাসুল, তিন-তিনটি কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা বৈধ নয়- এক. জীবনের বদলে জীবন। দুই. বিবাহিত ব্যভিচারী। তিন. ইসলাম ত্যাগকারী।’ (বোখারি : ৬৮৭৮)।

সুদ খাওয়া : সুদ ইসলামে হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা দ্বিগুণের ওপর দ্বিগুণ সুদ ভক্ষণ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো যেন তোমরা সুফল প্রাপ্ত হও।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৩০)। রাসুলুল্লাহ (সা.) সুদ গ্রহীতা, সুদদাতা, উল্কি অঙ্কনকারী উল্কি গ্রহণকারী নারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন।’ (বোখারি : ৫৯৪৫)।

এতিমের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করা : এটি এক ভয়ানক পাপ। অবৈধভাবে কোনো এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা আগুন ভক্ষণ করার মতো। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে এতিমের সম্পদ গ্রাস করে, তারা আসলে নিজেদের পেটে আগুনই ভক্ষণ করে। শিগগিরই তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে।’ (সুরা নিসা : ১০)।

ধর্মযুদ্ধ থেকে পালানো : ধর্মযুদ্ধ চলাকালে (রণক্ষেত্র) থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করলে ঈমান ধ্বংস হয়ে যায়। জিহাদের ময়দান থেকে শত্রুভয়ে পলায়ন করা কবিরা গোনাহ। অবশ্য শত্রুকে প্রতারিত করা কিংবা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা বৈধ।

উত্তম নারীকে অপবাদ : মুমিন নারীদের চরিত্রে মিথ্যা অপবাদ দিলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। মুমিন নারীর ওপর জিনার অপবাদ দেওয়া মারাত্মক গোনাহের কাজ। আল্লাহ বলেন, ‘যারা সতী-সাধ্বী সহজ-সরল মুমিন নারীদের প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। এবং তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।’ (সুরা নুর : ২৩)।   

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ