বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ঝুঁকিতে ফেলেছে সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের আত্মার বন্ধন এখনো অটুট: মাওলানা ফজলুর রহমান আ. লীগের নাশকতা ও গণহত্যার বিচার দাবিতে যুব মজলিস এর বিক্ষোভ মহাসড়কের পাশ থেকে লাগেজ ভর্তি পেট্রোলবোমা উদ্ধার গণভোটে চারটি বিষয়ের একটি প্রশ্ন, মতামত শুধু হ্যাঁ বা না-তে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ মতভিন্নতা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত ও ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল ১২ দলীয় জোট সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান

মাইলস্টোন স্কুল দুর্ঘটনা, উদ্ধার তৎপরতা ও আমাদের করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আজিজী

এমন ভয়াবহ খবর আমরা আর শুনতে চাই না। মাইলস্টোন স্কুলের উপর প্রশিক্ষণ বিমানের ভয়ংকর দুর্ঘটনা আমাদের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে। আমাদের কোমলমতি শিশুদের যন্ত্রণায় ছটফট করার দৃশ্য পুরো জাতির শান্তি কেড়ে নিয়েছে।

এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমাদের সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত জরুরি।

দুর্ঘটনা–পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ও আমাদের করণীয়:

মানবিকতা
এই ধরণের দুর্ঘটনায় প্রথম প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত মানবিকতা। উদ্ধার কাজে ব্যস্ত সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করা, রক্তদানে এগিয়ে আসা এবং হাসপাতালগুলোতে আহতদের পাশে দাঁড়ানো—এটাই সময়ের দাবি।

রাজনৈতিক নেতারা শোক প্রকাশ করে বার্তা দিবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সরাসরি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় বাধা সৃষ্টি করা কিংবা হাসপাতালে গিয়ে  চিকিৎসায় ব্যঘাত ঘটানো কোনভাবেই কাম্য নয়।

উদ্ধার তৎপরতায় সমন্বয়
প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে দ্রুত সমন্বয় জরুরি। সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা উচিত।

 গুজব থেকে সতর্কতা
এধরনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। যাচাই না করে কিছু শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। দায়িত্বশীল সংবাদ মাধ্যম  অনুসরণ করুন। নিজেও সাধ্যমত যাচাই-বাছাই করে তারপর শেয়ার করুন।

পরিবারের পাশে থাকা
নিহত বা আহতদের পরিবার এখন সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে। তাদের পাশে মানসিক ও আর্থিকভাবে সাহায্য নিয়ে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সমাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

দায়িত্ব নির্ধারণ ও তদন্ত দাবি
এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন বারবার না ঘটে, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবহেলা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

দোয়া ও ইবাদত
একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত শহীদ শিশুদের জন্য দোয়া করা, কোরআন তিলাওয়াত ও ইসালে সওয়াবের ব্যবস্থা করা। আল্লাহ যেন তাদের জান্নাত দান করেন এবং তাদের পরিবারকে সবর দান করেন।

শেষ কথা হলো- এই দুর্ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কতটা গাফিলতি রয়ে গেছে। এখনই সময়, সম্মিলিতভাবে সচেতন ও মানবিক জাতি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার।

আসুন, এই শোককে শক্তিতে পরিণত করি, ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হই।

লেখক: শিক্ষার্থী, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, অ্যাকটিভিস্ট।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ