বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে আ. লীগের ‘নৌকা’ গোপালগঞ্জে ইউএনওর গাড়ি বহরে হামলা টেকনাফের পাহাড়ে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার ছয় লাশ পোড়ানোর মামলা: ট্রাইব্যুনালে ৮ আসামি পাবনায় ট্রাকচাপায় ভ্যানচালকের মর্মান্তিক মৃত্যু, ট্রাক জব্দ “হাসিনা দেশকে মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকারে ভাগ করেছিলেন”—ভোলায় এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তথ্য ফাঁসের জেরে যুক্তরাজ্যের গোপন পুনর্বাসন পরিকল্পনায় আশ্রয় পেলেন হাজারো আফগান গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন, এনসিপি পদযাত্রা ঠেকাতে ছাত্রলীগের তাণ্ডব জুলাই স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা গাজায় আরও ৬১ প্রাণহানি, ত্রাণকেন্দ্রে হামলা

মনের আশা পূরণের দোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানুষ তখনই সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়, যখন তার মনের গভীর বাসনাগুলো পূরণ হয় না। অন্যদের জীবনে সফলতা আসে, কিন্তু নিজেরটা থেকে যায় অপূর্ণ। এই হতাশা, উৎকণ্ঠা ও নিরাশা—সবই মানবস্বভাব। তবে একজন মুমিন কখনোই দমে যায় না। কারণ, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ইবাদতের জন্য, আর তাঁর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো আমল ও দোয়া।

জীবনে নানা চড়াই-উতরাই আসবেই। বিপদ-আপদে ভেঙে না পড়ে, হতাশ না হয়ে, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। বেশি বেশি করে দোয়া করতে হবে। কারণ, কোনো মানুষের দোয়া আল্লাহ তাআলা অকারণে ফেরত দেন না।

হাদিসে দোয়া কবুলের তিনটি ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে—
১. কোনো কোনো দোয়া দুনিয়াতেই হুবহু কবুল হয়ে যায়।
২. কিছু দোয়ার প্রতিদান পরকালের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।
৩. আবার কোনো কোনো দোয়ার বদৌলতে অনুরূপ বিপদ বা অমঙ্গলকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১১১৩৩)

একবার হজরত আনাস (রাঃ) বলছেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করে একটি দোয়া করলেন। তিনি বললেন:

বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা ইলাহা ইল্লা আনতা আল-মান্নান, বাদিয়ুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম।”

বাংলা অর্থ:
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। প্রশংসা শুধু তোমারই। তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি পরম দয়ালু, আকাশ ও পৃথিবীর একমাত্র স্রষ্টা। হে গৌরব ও মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সুশাসক!

এ দোয়া শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন,
এই ব্যক্তি ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছে। ইসমে আজম হলো আল্লাহর সেই নাম, যার মাধ্যমে যদি কেউ তাঁকে ডাকে, তিনি সাড়া দেন, এবং যার মাধ্যমে কিছু চাওয়া হলে তা অবশ্যই পূরণ করেন।”
(আবু দাউদ)

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ