আবদুল্লাহ বিন আলমগীর
আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির উপকারের জন্য অসংখ্য প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটি প্রাণী-প্রজাতিকে তিনি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের স্বভাব-প্রকৃতি ও গঠনও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করেছেন।
পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে নানা ধরনের প্রাণী, কীট-পতঙ্গ, সরীসৃপ ও পাখির উল্লেখ পাওয়া যায়। এমনকি কোনো কোনো প্রাণীর নামে পূর্ণাঙ্গ সুরাও অবতীর্ণ হয়েছে। নিচে কোরআনে উল্লিখিত এসব প্রাণীর নাম ও সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলো বিভাগভিত্তিকভাবে তুলে ধরা হলো।
গবাদি পশু
১.গাভি
গাভির নামে আল্লাহ তায়ালা একটি সুরা নাজিল করেছেন। যা সুরা বাকারা নামে পরিচিত।
২. বাছুর (গোশাবক)
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, وَاِذۡ وٰعَدۡنَا مُوۡسٰۤی اَرۡبَعِیۡنَ لَیۡلَۃً ثُمَّ اتَّخَذۡتُمُ الۡعِجۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ وَاَنۡتُمۡ ظٰلِمُوۡنَ
অর্থাৎ, যখন মূসার জন্যে চল্লিশ রাত্রি নির্ধারিত করেছিলাম, তার প্রস্থানের পর তোমরা তখন গোবৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিলে; আর তোমরা তো জালিম। (সুরা বাকারা-৫১)
৩.ছাগল
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ثَمٰنِیَۃَ اَزۡوَاجٍ ۚ مِنَ الضَّاۡنِ اثۡنَیۡنِ وَمِنَ الۡمَعۡزِ اثۡنَیۡنِ
অর্থাৎ, আল্লাহ পাক (গবাদি পশুর) মোট আট প্রকার (সৃষ্টি করেছেন)। দু’ প্রকার (নর ও মাদী) ভেড়ায় ও দু’ প্রকার ছাগলে। (সুরা আনআম-১৪৩)।
৪.ভেড়া
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ثَمٰنِیَۃَ اَزۡوَاجٍ ۚ مِنَ الضَّاۡنِ اثۡنَیۡنِ وَمِنَ الۡمَعۡزِ اثۡنَیۡنِ
অর্থাৎ, আল্লাহ পাক (গবাদি পশুর) মোট আট প্রকার (সৃষ্টি করেছেন)। দু’ প্রকার (নর ও মাদী) ভেড়ায় ও দু’ প্রকার ছাগলে। (সুরা আনআম-১৪৩)।
৫.উট
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, وَمِنَ الۡاِبِلِ اثۡنَیۡنِ وَمِنَ الۡبَقَرِ اثۡنَیۡنِ
অর্থাৎ, এমনিভাবে উটেরও দু’টি প্রকার (নর ও মাদী) (সৃষ্টি করেছেন) এবং গরুরও দু’টি।(সুরা-আনআম ১৪৪)
ভারবাহী ও বাহন প্রাণী
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَمِنَ الۡاَنۡعَامِ حَمُوۡلَۃً وَّفَرۡشًا
অর্থাৎ, তিনি গবাদি পশুর মধ্যে কতক (সৃষ্টি করেছেন) ভারবাহীরূপে এবং কতককে মাটির সাথে। (সুরা আনআম - ১৪২)
১.ঘোড়া, গাধা/খচ্চর
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَّالۡخَیۡلَ وَالۡبِغَالَ وَالۡحَمِیۡرَ لِتَرۡکَبُوۡہَا وَزِیۡنَۃً ؕ وَیَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ
অর্থাৎ, এবং ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা তিনিই সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাতে আরোহণ করতে পার এবং তা তোমাদের শোভা হয়। তিনি সৃষ্টি করেন এমন বহু জিনিস, যা তোমরা জান না। ( সুরা নাহল - ৮)
বন্য ও শিকারি প্রাণী
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَاِذَا الۡوُحُوۡشُ حُشِرَتۡ ۪ۙ
অর্থাৎ, এবং যখন বন্য পশুসমূহ একত্র করা হবে। (সুরা তাকভির - ৫)
১. শিকারি পশু
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, قُلۡ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ۙ وَمَا عَلَّمۡتُمۡ مِّنَ الۡجَوَارِحِ مُکَلِّبِیۡنَ تُعَلِّمُوۡنَہُنَّ مِمَّا عَلَّمَکُمُ اللّٰہُ ۫ فَکُلُوۡا مِمَّاۤ اَمۡسَکۡنَ عَلَیۡکُمۡ وَاذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلَیۡہِ ۪
অর্থাৎ, আপনি বলে দিন , তোমাদের জন্য সমস্ত উপাদেয় জিনিস হালাল করা হয়েছে। আর যেই শিকারী পশুকে তোমরা আল্লাহর শেখানো পন্থায় শিখিয়ে শিখিয়ে (শিকার করার জন্য) প্রশিক্ষিত করে তুলেছ, তারা যে জন্তু (শিকার করে) তোমাদের জন্য ধরে আনে, তা থেকে তোমরা খেতে পার। আর তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। ( সুরা মায়িদা-৪)
২.কুকুর
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন , وَکَلۡبُہُمۡ بَاسِطٌ ذِرَاعَیۡہِ بِالۡوَصِیۡدِ
অর্থাৎ, আর তাদের কুকুর গুহামুখে সামনের পা দু’টি ছড়িয়ে (বসা) ছিল। (সুরা কাহফ - ১৮)
৩. শুকর
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, قُلۡ لَّاۤ اَجِدُ فِیۡ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیَّ مُحَرَّمًا عَلٰی طَاعِمٍ یَّطۡعَمُہٗۤ اِلَّاۤ اَنۡ یَّکُوۡنَ مَیۡتَۃً اَوۡ دَمًا مَّسۡفُوۡحًا اَوۡ لَحۡمَ خِنۡزِیۡرٍ فَاِنَّہٗ رِجۡسٌ اَوۡ فِسۡقًا اُہِلَّ لِغَیۡرِ اللّٰہِ بِہٖ ۚ অর্থাৎ,“(হে নবী!) আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতি যে ওহি নাজিল করা হয়েছে, তাতে আমি কোনো খাদ্য হারাম পাই না এমন কোনো ভক্ষণকারীর জন্য, যা সে খায়—তবে তা যদি হয় মৃত জন্তু, অথবা প্রবাহিত রক্ত, অথবা শুকরের মাংস, নিশ্চয়ই তা অপবিত্র, অথবা এমন জন্তু, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয়েছে— তাহলে তা নিষিদ্ধ।” (সুরা আনআম - ১৪৫)
৪.বানর
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَلَقَدۡ عَلِمۡتُمُ الَّذِیۡنَ اعۡتَدَوۡا مِنۡکُمۡ فِی السَّبۡتِ فَقُلۡنَا لَہُمۡ کُوۡنُوۡا قِرَدَۃً خٰسِئِیۡنَ
অর্থাৎ, এবং তোমরা নিজেদের সেই সকল লোককে ভাল করেই জান। যারা শনিবার বিষয়ে সীমালংঘন করেছিল। ফলে আমি তাদেরকে বলেছিলাম, তোমরা ধিকৃত বানরে পরিণত হও। (সুরা বাকারা: ৬৫)
৫. হাতি
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, اَلَمۡ تَرَ کَیۡفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِاَصۡحٰبِ الۡفِیۡلِ
অর্থাৎ, আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? (সুরা ফিল: ১)
৬. সিংহ
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, فَرَّتۡ مِنۡ قَسۡوَرَۃٍ
অর্থাৎ, যেন কোন সিংহের ভয়ে পলায়ন করছে। (সুরা মুদ্দাচ্ছির: ৫১)
৭. নেকড়ে বাঘ
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, قَالَ اِنِّیۡ لَیَحۡزُنُنِیۡۤ اَنۡ تَذۡہَبُوۡا بِہٖ وَاَخَافُ اَنۡ یَّاۡکُلَہُ الذِّئۡبُ وَاَنۡتُمۡ عَنۡہُ غٰفِلُوۡنَ
অর্থা, ইয়াকুব বললেন তোমরা তাকে নিয়ে গেলে আমার (বিরহজনিত) কষ্ট হবে, এবং আমার এই ভয়ও আছে যে, কখনও তার প্রতি তোমরা অমনোযোগী হলে নেকড়ে বাঘ তাকে খেয়ে ফেলবে। (সুরা ইউসুফ - ১৩)
সরীসৃপ
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, اِنِّیۡ تَوَکَّلۡتُ عَلَی اللّٰہِ رَبِّیۡ وَرَبِّکُمۡ ؕ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ اِلَّا ہُوَ اٰخِذٌۢ بِنَاصِیَتِہَا ؕ اِنَّ رَبِّیۡ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ
অর্থাৎ, আমি তো আল্লাহর উপর ভরসা করেছি, যিনি আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। ভূমিতে বিচরণকারী এমন কোনও প্রাণী নেই, যার ঝুঁটি তাঁর মুঠোয় নয়। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক সরল পথে রয়েছেন। (সুরা হুদ - ৫৬)
১.সাপ
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, فَاَلۡقٰہَا فَاِذَا ہِیَ حَیَّۃٌ تَسۡعٰی
অর্থাৎ, অতঃপর তিনি তা নিক্ষেপ করলেন, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটাছুটি করতে লাগল। (সুরা ত্বহা - ২০)
২.ব্যাঙ
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, فَاَرۡسَلۡنَا عَلَیۡہِمُ الطُّوۡفَانَ وَالۡجَرَادَ وَالۡقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ اٰیٰتٍ مُّفَصَّلٰتٍ ۟ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا وَکَانُوۡا قَوۡمًا مُّجۡرِمِیۡنَ
অর্থাৎ, সুতরাং আমি তাদের উপর পাঠিয়ে দিলাম তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রভৃতি বহুবিধ নিদর্শন একের পর এক। তারপরেও তারা গর্ব করতে থাকল। বস্তুতঃ তারা ছিল অপরাধপ্রবণ।(সুরা আ'রাফ: ১৩৩)
পাখি
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, وَّاَرۡسَلَ عَلَیۡہِمۡ طَیۡرًا اَبَابِیۡلَ ۙ
অর্থ: তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি।(সুরা ফিল: ৩)
১.হুদহুদ
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, وَتَفَقَّدَ الطَّیۡرَ فَقَالَ مَا لِیَ لَاۤ اَرَی الۡہُدۡہُدَ ۫ۖ اَمۡ کَانَ مِنَ الۡغَآئِبِیۡنَ
অর্থ: সুলায়মান পক্ষীদের খোঁজ খবর নিলেন, অতঃপর বললেন, কি হল, হুদহুদকে দেখছি না কেন? নাকি সে অনুপস্থিত? (সুরা নামল - ২০)
২.কাক
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, فَبَعَثَ اللّٰہُ غُرَابًا یَّبۡحَثُ فِی الۡاَرۡضِ لِیُرِیَہٗ کَیۡفَ یُوَارِیۡ سَوۡءَۃَ اَخِیۡہِ ؕ قَالَ یٰوَیۡلَتٰۤی اَعَجَزۡتُ اَنۡ اَکُوۡنَ مِثۡلَ ہٰذَا الۡغُرَابِ فَاُوَارِیَ سَوۡءَۃَ اَخِیۡ ۚ فَاَصۡبَحَ مِنَ النّٰدِمِیۡنَ ۚۛۙ
অর্থ: আল্লাহ এক কাক প্রেরণ করলেন। সে মাটি খনন করছিল যাতে তাকে শিক্ষা দেয় যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ কিভাবে আবৃত করবে। সে বলল- আফসোস, আমি কি এ কাকের সমতুল্যও হতে পারলাম না যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ আবৃত করি। অতঃপর সে অনুতাপ করতে লাগল।(সুরা-মায়িদা: ৩১)
পোকামাকড়-কীটপতঙ্গ
فَلَمَّا قَضَیۡنَا عَلَیۡہِ الۡمَوۡتَ مَا دَلَّہُمۡ عَلٰی مَوۡتِہٖۤ اِلَّا دَآبَّۃُ الۡاَرۡضِ تَاۡکُلُ مِنۡسَاَتَہٗ ۚ فَلَمَّا خَرَّ تَبَیَّنَتِ الۡجِنُّ اَنۡ لَّوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ الۡغَیۡبَ مَا لَبِثُوۡا فِی الۡعَذَابِ الۡمُہِیۡنِ ؕ
অর্থ: যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না। (সুরা-সাবা: ১৪)
১. পঙ্গপাল, উকুন
আল্লাহ তায়ালা বলেন, فَاَرۡسَلۡنَا عَلَیۡہِمُ الطُّوۡفَانَ وَالۡجَرَادَ وَالۡقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ اٰیٰتٍ مُّفَصَّلٰتٍ ۟ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا وَکَانُوۡا قَوۡمًا مُّجۡرِمِیۡنَ
অর্থ: সুতরাং আমি তাদের উপর পাঠিয়ে দিলাম তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রভৃতি বহুবিধ নিদর্শন একের পর এক। তারপরেও তারা গর্ব করতে থাকল। বস্তুতঃ তারা ছিল অপরাধপ্রবণ। (সুরা আরাফ: ১৩৩)
২. মৌমাছি
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, وَاَوۡحٰی رَبُّکَ اِلَی النَّحۡلِ اَنِ اتَّخِذِیۡ مِنَ الۡجِبَالِ بُیُوۡتًا وَّمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا یَعۡرِشُوۡنَ ۙ
অর্থ: তোমার প্রতিপালক মৌমাছির অন্তরে এই নির্দেশ সঞ্চার করেন যে, পাহাড়ে, গাছে এবং মানুষ যে মাচান তৈরি করে তাতে নিজ ঘর তৈরি কর। (সুরা নাহল: ৬৮)
মৌমাছির নাম অনুকরণে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন, যা সুরা নাহল নামে পরিচিত।
৩. মাছি
আল্লাহ তায়ালা বলেন, یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسۡتَمِعُوۡا لَہٗ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ لَنۡ یَّخۡلُقُوۡا ذُبَابًا وَّلَوِ اجۡتَمَعُوۡا لَہٗ ؕ وَاِنۡ یَّسۡلُبۡہُمُ الذُّبَابُ شَیۡئًا لَّا یَسۡتَنۡقِذُوۡہُ مِنۡہُ ؕ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالۡمَطۡلُوۡبُ
অর্থ: হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন। (সুরা হজ: ৭৩)
৪.মশা
اِنَّ اللّٰہَ لَا یَسۡتَحۡیٖۤ اَنۡ یَّضۡرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوۡضَۃً فَمَا فَوۡقَہَا
অর্থ: আল্লাহ পাক নিঃসন্দেহে মশা বা তদুর্ধ্ব বস্তু দ্বারা উপমা পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। (সুরা-বাকারা: ২৬)
৫. পিঁপড়া
حَتّٰۤی اِذَاۤ اَتَوۡا عَلٰی وَادِ النَّمۡلِ ۙ قَالَتۡ نَمۡلَۃٌ یّٰۤاَیُّہَا النَّمۡلُ ادۡخُلُوۡا مَسٰکِنَکُمۡ ۚ لَا یَحۡطِمَنَّکُمۡ سُلَیۡمٰنُ وَجُنُوۡدُہٗ ۙ وَہُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ
অর্থ: যখন তারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সুলায়মান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে।(সুরা নামল: ১৮)
পিঁপড়ার নাম অনুকরণে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন, যা সুরা নামল নামে পরিচিত।
৬.উইপোকা বা ঘুণপোকা
فَلَمَّا قَضَیۡنَا عَلَیۡہِ الۡمَوۡتَ مَا دَلَّہُمۡ عَلٰی مَوۡتِہٖۤ اِلَّا دَآبَّۃُ الۡاَرۡضِ تَاۡکُلُ مِنۡسَاَتَہٗ ۚ فَلَمَّا خَرَّ تَبَیَّنَتِ الۡجِنُّ اَنۡ لَّوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ الۡغَیۡبَ مَا لَبِثُوۡا فِی الۡعَذَابِ الۡمُہِیۡنِ ؕ
অর্থ: যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না। (সুরা-সাবা: ১৪)
৮.মকড়সা
مَثَلُ الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَوۡلِیَآءَ کَمَثَلِ الۡعَنۡکَبُوۡتِ ۖۚ اِتَّخَذَتۡ بَیۡتًا ؕ وَاِنَّ اَوۡہَنَ الۡبُیُوۡتِ لَبَیۡتُ الۡعَنۡکَبُوۡتِ ۘ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ
অর্থ: যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত। (সুরা আনকাবুত: ৪১)
মকড়সার নাম অনুকরণে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন, যা সুরা আনকাবুত নামে পরিচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ ঢাকা।
এমএইচ/