শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ১৭ ফিলিস্তিনি খানকায়ে আহমদিয়ার ২৭তম আধ্যাত্মিক কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে দুই এজাহারনামীয় আসামি গ্রেপ্তার: জানাল র‍্যাব তীব্র গরমে হাতে তৈরি এয়ার কুলারই ভরসা আফগান ট্যাক্সিচালকদের ‘নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হতে দেবো না’ — রিফাত রশিদ প্রশাসনিক ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি : যুবদল সভাপতি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুব আলেম ও ওলামাদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হবে আপনাদেরকে মানুষ পালানোর সুযোগও দেবে না, বিএনপিকে বৈষম্যবিরোধীর নেতা ক্ষমতার জন্য নয়, গণতন্ত্র উদ্ধারে পাগল হয়েছে বিএনপি: গয়েশ্বর নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ

কিছু বিপদ কল্যাণ বয়ে আনে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিপদ সব ক্ষেত্রে মানুষের বিনাশ ডেকে আনে না। বরং কিছু কিছু বিপদ মানুষের জন্য নতুন সম্ভাবনা খুলে দেয়। আরো সচেতন ও শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। দুনিয়া-আখিরাতে মর্যাদা বৃদ্ধি করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৫৫)

এ আয়াত দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, সাময়িক দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দুনিয়ার জীবনের স্বাভাবিক রুটিনের অন্তর্ভুক্ত। কখনো রাত, কখনো দিন, কখনো কান্না, কখনো হাসি নিয়েই দুনিয়ার জীবন। সুতরাং কোনো বিপদে পড়লে তাকে অপ্রত্যাশিত কিছু মনে না করলেই ধৈর্য ধারণ করা সহজ হয়ে যায়।

বিপদে ধৈর্য ধারণ বিপদকে নিয়ামতে পরিণত করে দেয়। তখন বিপদই বান্দার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়।

তবে বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা হারালে তা নিছক বিপদই থাকে, বা আরো বড় বিপদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সুহায়ব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সমস্ত কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শোকরগুজার করে আর অসচ্ছলতা বা দুঃখ-মুসিবতে আক্রান্ত হলে ধৈর্য ধরে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর। (মুসলিম, হাদিস: ৭৩৯০)

সব ক্ষেত্রে বিপদে পড়ার মানে এই নয় যে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিটি আল্লাহর অপ্রিয়। আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের আরো বেশি পরীক্ষা করেন। তাদের পুরস্কার যেমন বড়, বিপদও তেমন বড়। এটা নবীজি (সা.)-এরই বাণী। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘বিপদ যত তীব্র হবে, প্রতিদানও তদনুরূপ বিরাট হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো জাতিকে ভালোবাসলে তাদের পরীক্ষা করেন। যারা তাতে সন্তুষ্ট থাকে তাদের জন্য আছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর যারা তাতে অসন্তুষ্ট হয়, তাদের জন্য আছে অসন্তুষ্টি।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪০৩১)

যারা মুমিন, তাদের আসলে হারানোর কিছুই নেই। শত্রু ও হিংসুকরা তাদের আঘাত দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়; কিন্তু মহান আল্লাহ ওই আঘাতগুলোর বিনিময়ে তাদের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করে দেন এবং সময়ের পরিবর্তনে তাদের স্বস্তি দান করেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে।’ (সুরা: আল ইনশিরাহ, আয়াত: ৬)

হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আয়েশা (রা.) বলেন, আমি শুনেছি, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যেকোনো মুসলমানের গায়ে একটি কাঁটা বিদ্ধ হয় কিংবা তার চেয়েও বেশি ছোট্ট কোনো আঘাত লাগে, তার বিনিময়ে তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৪৫৫)

তাই আমাদের উচিত, বিপদের দিনে ভেঙে না পড়ে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখা। আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ দুশ্চিন্তাকে আনন্দে পরিণত করবেন। উত্তম থেকে উত্তম প্রতিদান দেবেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ