বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ময়মনসিংহে ইসলামি বইমেলা শুরু ১৩ নভেম্বর ভারতের পুনে দুর্গে নামাজ আদায় করা নিয়ে দেশভর তোলপাড় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: শায়খে চরমোনাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ' নামের পত্রিকা : স্বাধীনতার ৩৩ বছর আগের এক ঐতিহাসিক দলিল ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হওয়ার খবরটি ভুল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নাতির কাছে কায়দা শিখছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ারের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ: এনসিপি ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস এ৩৩০ সম্পন্ন হলো আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক

জমিয়তের নবনির্বাচিত সভাপতি আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুকের বর্ণাঢ্য জীবন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন প্রবীণ শায়খুল হাদিস এবং সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক। আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। তাঁর রয়েছে একটি বর্ণাঢ্য জীবন। বাড়ি সিলেটে হলেও রাজধানী ঢাকায় কাটিয়েছেন পুরো কর্মজীবন। তাঁর হাতে গড়া শত শত ছাত্র দেশের নানা প্রান্তে ইলমের খেদমতে নিয়োজিত। তিনি এখনো বেশ সক্রিয়। এক ডজনের বেশি মাদরাসায় হাদিসের দরস দিয়ে থাকেন।

জীবন ও শিক্ষা:

আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক ১৯৪৭ সালের ৯ আগস্ট সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার আকনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন তৎকালীন জমিয়ত নেতা, শাইখুল হাদিস আল্লামা শফিকুল হক আকুনি। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা 'মাজাহিরুল উলূম'-এ। এরপর ১৯৬৯ সালে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। দাওরায়ে হাদিসের পর তিনি এক বছর তাবলিগ জামায়াতে সময় দেন। পরে উচ্চতর ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারতে গমন করেন এবং সেখানে দুই বছর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন।

পেশাগত জীবন:

১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাকাজে বিরতি দেন। ১৯৭৮ সালে জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদরাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হন। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি বারিধারা মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তী সময়ে মাদরাসাটির শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়ায় নিয়মিত বুখারির দরস প্রদান করছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বহু মাদরাসায় শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যক্তিজীবন:

আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক দুই পুত্র ও এক কন্যার জনক। তাঁর স্ত্রী ২০১৬ সালে ইন্তেকাল করেন।

রাজনৈতিক জীবন:

ছাত্রজীবন থেকেই পিতার হাত ধরে জমিয়তের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তিনি। ১৯৬৬ সাল থেকে তিনি জমিয়তের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ইসলামি আন্দোলনে যুক্ত আছেন। প্রায় পাঁচ দশকেরও অধিককাল ধরে তিনি এ দেশের রাজনীতি ও ইসলামি আন্দোলনে নিবেদিতপ্রাণভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় দুই যুগ ধরে জমিয়তের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সব শেষ কমিটিতে তিনি সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পান। এবারের কাউন্সিলে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ