বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ময়মনসিংহে ইসলামি বইমেলা শুরু ১৩ নভেম্বর ভারতের পুনে দুর্গে নামাজ আদায় করা নিয়ে দেশভর তোলপাড় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: শায়খে চরমোনাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ' নামের পত্রিকা : স্বাধীনতার ৩৩ বছর আগের এক ঐতিহাসিক দলিল ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হওয়ার খবরটি ভুল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নাতির কাছে কায়দা শিখছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ারের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ: এনসিপি ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস এ৩৩০ সম্পন্ন হলো আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক

প্রতি মাসে ৩ দিন রোজা রাখার ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। ইসলামী পরিভাষায় এই দিনগুলোকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। বিজ শব্দের অর্থ সাদা বা পরিষ্কার। এই দিনগুলোতে যেহেতু চাঁদের আলোয় পৃথিবী আলোকিত থাকে, ঝলমল করে; এ জন্য দিনগুলোকে আইয়ামে বিজ বলা হয়।

আবুু জর (রা.)-কে নবীজি (সা.) বলেছেন, তুমি যদি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখো। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬১)

এ ছাড়া মাসের যেকোনো তিন দিন রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হবে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬২)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ধৈর্যের মাস হলো রমজান মাস। আর প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম (রোজা) পালন করা সারা বছর সাওম (রোজা) পালন করার সমতুল্য। (নাসাঈ, হাদিস : ২৪০৮)

মাসে তিন দিন রোজা রাখলে মনের ওয়াসওয়াসা দূর হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের অন্তরের ওয়াসওয়াসা দূর করার আমল সম্পর্কে অবহিত করব না? সাহাবিরা বলেন, কেন নয়? তিনি বলেন, তা হলো প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম (রোজা) পালন করা। (নাসাঈ, হাদিস : ২৩৮৬)

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কোনো কোনো ইসলামিক স্কলার বলেছেন, ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ভূপৃষ্ঠ ও মানুষের ওপর চাঁদের প্রভাব পড়ে। এ দিনগুলোতে চাঁদ পূর্ণতা পায়। এ সময় ভূপৃষ্ঠ ও মানুষের অভ্যন্তরে এ আকর্ষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।

এই আকর্ষণ প্রকাশিত হয় সাগর-নদীতে জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে আর মানুষের মধ্যে এটির প্রকাশ ঘটে চঞ্চলতা, আবেগ-উদ্বেগ, গোঁড়ামি, দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা, মানবিক ও স্নায়ুবিক উত্তেজনা ইত্যাদি বৃদ্ধির মাধ্যমে। তাই এ সময়ে রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে, যাতে এই দিনগুলোতে মানবিক উৎকর্ষ সাধন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা রোধে সক্ষম হয়।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ