মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি

গর্ভবতী স্ত্রী রেখে জানাযায় শরীক হলে কি সন্তানের ক্ষতি হয়?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

 

বর্তমান সমাজে কিছু কুসংস্কার প্রবেশ করেছে, যেগুলো মানুষকে ধীরে ধীরে শিরক এবং কুফুরির দিকে নিয়ে যায়। মানুষের ঈমান-আমল বিনষ্টকারী কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। প্রচলিত এসব কুসংস্কারের কারণে আল্লাহর ওপর আস্থা ও তার রহমতের প্রতি নির্ভরতা কমে যায়; চিরাচরিত ধর্মবিশ্বাসে চিড় ধরে।

কুসংস্কার হলো ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরের প্রচলিত নিয়মবিধি- যার প্রতি মানুষ অন্ধবিশ্বাস স্থাপন করে সেই বিশ্বাসকে ভিত্তি করে জীবনে চলার চেষ্টা করে। কুসংস্কারজনিত অন্ধবিশ্বাসে পড়ে মানুষ নিজেদের ঈমানকে দুর্বল করে তুলছে। বস্তুত মুসলমানের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসাই যথেষ্ট। ইসলামী শরিয়ত পরিপন্থী প্রচলিত এসব বর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। এছাড়া কুসংস্কার বন্ধের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো সবার ঈমানি দায়িত্ব। কুসংস্কার প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- রোগের মধ্যে সংক্রমণ নেই; শুভ–অশুভ লক্ষণ বলে কিছু নেই। পেঁচায় কুলক্ষণ নেই এবং সফর মাসে অকল্যাণ নেই। বোখারী শরীফ- ৫৩৪৬।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, শুভ–অশুভে বিশ্বাস হল শিরকের অন্তর্গত আমাদের এমন কেউ নেই যার এই ওয়াসওয়াসা আসে না। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর উপর তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে তা বিদুরিত করে দেন।- ইবনে মাজাহ ৩৫৩৮

প্রচলিত একটি কুসংস্কার  পাঠকের সামনে তুলা ধরা হল-

এক ব্যক্তির বাবার জানাযা অনুষ্ঠিত হল। কিন্তু দেখা গেল, জানাযার নামাযের সময় সে শরীক না হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলল, তার স্ত্রী গর্ভবতী, তাই সে জানাযায় শরীক হতে পারবে না। এতে নাকি গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হবে! সে এটাও জানালো যে, বাড়ির মহিলারা তাকে এটি বলেছে এবং জানাযায় শরীক হতে নিষেধ করেছে। তেমনি সে এলাকায় প্রচলিত আছে, গর্ভবতী নারীর স্বামী হাঁস-মুরগি জবাই করতে পারবে না; এতে সন্তান ঠোঁটকাটা বা নাককাটা হবে। এগুলো সবই অমূলক ধারণা, সামাজিক কুসংস্কার। এগুলো বিশ্বাস করা যাবে না।

এছাড়া এলাকাভেদে আরও অনেক কুসংস্কারের প্রচলন রয়েছে। আমাদের উচিত এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে প্রচলিত এ সব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। 

এমআই/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ