অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিনের সামরিক অভিযান এবং পশ্চিম তীরে ক্রমাগত ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বেইসান শহরে একটি প্রতিরোধমূলক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সংঘটিত এই গাড়িচাপা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই ইসরায়েলি নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি চিকিৎসা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি পুলিশের ভাষ্যমতে, এই বীরত্বপূর্ণ বা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যুবক পশ্চিম তীরের কাবাতিয়া এলাকার একজন ফিলিস্তিনি নাগরিক। ফিলিস্তিনিদের দাবি অনুযায়ী, দখলদার বাহিনীর প্রতিদিনের দমন-পীড়ন ও বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ভূমি দখলের বিরুদ্ধে এটি এক ধরনের ব্যক্তিগত প্রতিরোধ (Individual Resistance)।
হামলার পরপরই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ফিলিস্তিনি গ্রাম কাবাতিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সেখানে ‘দৃঢ় ও দ্রুত’ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা ওই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণত এ ধরনের ঘটনার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া এবং গণগ্রেপ্তারের মতো ‘সম্মিলিত শাস্তি’ (Collective Punishment) দিয়ে থাকে।
গত নভেম্বর মাসেও গুশ এতজিওন এলাকায় একই ধরনের প্রতিরোধমূলক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীদের মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বজায় থাকবে এবং সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের বিচ্ছিন্ন কিন্তু জোরালো প্রতিরোধের ঘটনা থামানো সম্ভব নয়।
এনএইচ/