ইনকিলাব মঞ্চের সাবেক মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তীব্র শীত উপেক্ষা করেও তারা রাজপথে অবস্থান নিয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছেন।
এই অবস্থার মধ্যেই প্রবাসীদের একটি অংশ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূল হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা না হলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৭২ ঘণ্টার এই আল্টিমেটাম শুক্রবার রাতের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা করা হয়।
ইতালি প্রবাসী সাইফুর রহমান নিজের ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত বা গ্রেফতারে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ কার্যত অদৃশ্য, অথচ ভিন্ন ইস্যুতে নির্বিচারে ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ধরনের দ্বিমুখী আচরণ আর মেনে নেওয়া হবে না।
আল্টিমেটাম দিয়ে সাইফুর রহমান লেখেন, আগামী সোমবারের মধ্যে যদি মূল হত্যাকারী গ্রেফতার না হয়, তাহলে প্রবাসীরা সম্মিলিতভাবে রেমিট্যান্স শাটডাউনের পথে যাবে। তার ভাষায়, ধর্মপ্রাণ মানুষের ওপর নিপীড়ন চালাতে কিংবা অন্যের স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠানো হবে না।
এই ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বহু প্রবাসী তার পোস্ট শেয়ার করে সংহতি প্রকাশ করছেন। তামিম রেজা নামের এক প্রবাসী ফেসবুকে লেখেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের পক্ষ থেকে রেমিট্যান্স শাটডাউন কার্যকর করা হবে।
এদিকে শাহবাগে অবস্থানরত ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হলে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। তারা দাবি করেন, এই হত্যা শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থানকে টার্গেট করেই সংঘটিত হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রবাসীদের এমন ঘোষণা বাস্তব রূপ পেলে দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এখন দেখার বিষয়—নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নেয়।
এনএইচ/