জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি ইসলামি ও সমমনা দলের সমালোচনা করে জুমার বয়ান করায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর ডিআইটি মসজিদে হট্টগোল হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগে এই ঘটনা ঘটে।
ডিআইটি মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আউয়াল হেফাজতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির। গতকাল খুতবার আগে তিনি তাঁর বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামি আট দলের সমালোচনা করে বলেন, ‘আট দল মিলিয়ে আপানার ইসলামি হুকুমত কায়েম করে ফেলবেন? সেক্যুলারদের সাথে যোগসাজশ কইরা কোনোদিন ইসলাম কায়েম সম্ভব হবে না।’
মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, ওসমান হাদিকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে। একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে তারা এই দেশে বন্দুক নিয়া আসবে। আলেম ওলামা যারা এ দেশকে ইসলামি বানাইতে চায় তাদের বন্দুকের আওতায় নিয়া আসবে।’
এ সময় কয়েকজন চরমোনাই ও জামায়াত সমর্থক এর প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে ইমাম আউয়ালের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের মসজিদের ভেতরেই হট্টগোল বেধে যায়। পরে ওই কর্মী-সমর্থকদের মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ওই আট দলের উদ্দেশে মাওলনা আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আট দল মিলিয়ে আপানার ইসলামি হুকুমত কায়েম করে ফেলবেন? আপনারা বিএনপির কাছে দৌড়াইছেন কেন? লন্ডনে কেন গেছেন আপনারা? অনেকে মনে করছেন ইসলাম কায়েম করেই ফেলেছি আমরা। এটা আলাদ্দিনের চেরাগ! চেষ্টাটা কীভাবে করছেন? ব্যাংক ঠিক রাইখা, সুদ ঠিক রাইখা, জুয়া ঠিক রাইখা, মহিলাদের বেপর্দা রাইখা? সত্যিকার ইসলাম চাই, মদিনার ইসলাম চাই। এভাবে যোগসাজশ করে আল্লাহর নবী (সা.) কোনোদিন ইসলাম কায়েম করেননি। তিনশ জনের মধ্যে ভাগাভাগি করতে যাইয়া একশ অমুক দলকে দিবো, আপনারা মানবেন না– এই টানাহ্যাঁচড়ার অর্থটা কী? সেক্যুলারদের সাথে যোগসাজশ কইরা কোনোদিন ইসলাম কায়েম সম্ভব হবে না। ইসলাম কায়েম করতে চাইলে পুরাপুরি করেন। তাহলে এ দেশের নব্বইভাগ মানুষ আপনাকে সমর্থন করবে। অনেকে বলেন– না, এইটা দেখছি, ঐটা দেখছি, এখন এটাকে দেখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক চলবে, সুদ চলবে, জেনা চলবে, বাউল চলবে– তাহলে তারা সহযোগিতা করবে না। যত অশ্লীলতা আছে, তাহলে তারা সহযোগিতা করবে। আর এগুলোতে চোখ দিলে চোখ উঠিয়ে ফেলবে।’
এনএইচ/