মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৮ পৌষ ১৪৩২ ।। ৩ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনি বন্দিদের জন্য কুমিরবেষ্টিত কারাগারের প্রস্তাব ইসরায়েলের, তীব্র বিতর্ক নারায়ণগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নগর সম্মেলন, নতুন কমিটি ঘোষণা ইসলামপন্থীদের টার্গেট করে বেআইনিভাবে আটক বন্ধের দাবি বিহারে মুসলিম হকার হত্যা: ভিকটিমকেই ‘চোর’ বানানোর চেষ্টা মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিনের ইন্তেকাল মাদ্রাসা থেকে র‍্যাব পরিচয়ে তরুণ আলেমকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ আবরার ফাহাদ-ওসমান হাদির নামে দুই ভবনের নাম রাখলেন শিক্ষার্থীরা মুফতি শামাইল ও জাবেদ আখতারের বিতর্ক, দরকারি কিছু কথা ঢাকা–১৩ আসনে দিনভর গণসংযোগে ব্যস্ত ইবনে শাইখুল হাদিস বাড়িতে যৌনকর্মীদের আশ্রয়, জামায়াত নেতা বহিষ্কার

মুফতি শামাইল ও জাবেদ আখতারের বিতর্ক, দরকারি কিছু কথা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ
দুদিন আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত তরুণ মুফতি শামাইল নদবী ও প্রায়-বৃদ্ধ লিরিসিস্ট জাবেদ আখতারের বিতর্কটি উপমহাদেশব্যাপী যথেষ্ট আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষত মুফতি শামাইল অনেক প্রশংসা পাচ্ছেন, মাশাআল্লাহ। আসলেই তিনি ভালো বলেছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সময় ধরে, শান্ত থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখে, অত্যন্ত স্মার্ট ভঙ্গিতে, প্রতিপক্ষ ও পরিস্থিতিকে সৌজন্যমূলক সম্মান দিয়ে উপযুক্ত কথাগুলো বলে যাওয়া যথেষ্ট কঠিন এবং সেটা তিনি পেরেছেন। এযুগের তরুণ দাঈদের জন্য বিতর্ক ও মুখোমুখি আলোচনায় তিনি উদাহরণ হতে পারেন।

তর্কের বিষয় ছিল: সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে কি না? নাস্তিকতার পক্ষে বিতার্কিক ছিলেন জাভেদ আখতার, তিনি নিজেও নাস্তিক। আল্লাহ তায়ালা তাকে হেদায়েত দান করুন। তার অবস্থানের পক্ষে যুক্তি ও আবেগ দিয়ে লড়তে চেষ্টা করেছেন। খ্যাতিমান ও পোড়-খাওয়া মানুষ;

কবিতা, লিরিক, মুভি-কাহিনি, রাজনীতি অনেক কিছুর সাথে জড়িত। অনলাইনে এবং উপমহাদেশে তার বিশাল ফ্যানবেজ আছে। কিন্তু তরুণ মুফতি সাহেব এই ভাবমূর্তির প্রতিপক্ষে ভালো করেছেন।

এসব বিতর্কে একটা বিষয় মনে হয় গভীরভাবে সতর্কতার। পুরো আলোচনাটা শুনতে পারিনি, বেশির ভাগ শুনেছি, কিছু কিছু অংশ বারবার শুনেছি। সবার জন্য সবার সামনে এজাতীয় আলোচনা উপভোগ করার ব্যবস্থা থাকাটা নিরাপদ না। যাদের ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি জানাশোনা আছে, নানারকম ওযর আপত্তির ব্যাখ্যা সম্পর্কে আলোচনা মাথায় আছে, তাদের জন্য চলে। কিন্তু একদম শূন্য পড়াশোনা লেভেলের মানুষজনের জন্য এজাতীয় বিতর্ক উপভোগ করাটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঈমান ও স্থির বিশ্বাস অনেক বড় সম্পদ। অহেতুক এটাকে এক্সপেরিমেন্টে ফেলে দেওয়া সবার জন্য ঠিক না। একটা বিতর্কের সেশনে আপত্তিকর সব সংশয়, প্রশ্ন, আপত্তির জবাব দেওয়ার সুযোগ অপরপক্ষের (বিশ্বাসী পক্ষের) থাকে না। তিনি ভাইটাল বিষয়গুলোকে স্পর্শ করেন। এভাবেই মজলিস শেষ হয়ে যায়। 

এখন অনালোচিত প্রশ্ন ও আপত্তিগুলো শ্রোতাদের বড় একটা অংশের মনকে খোঁচাতে থাকতে পারে। উত্তর ও সমাধান থাকলেও যেহেতু তার সামনে আলোচনা হয়নি, তার তো জানা নেই। এটা একটা জটিল সমস্যা। বলাও যায় না শুনবেন না, আবার শোনার পর উদ্ভূত মনো-অস্থিরতার সমস্যা তৈরি হলে সেটা মজলিসি আলোচনার মতো সমাধানও হয় না। মোটকথা, যাদের দরকার এবং জানাশোনা আছে তারা এসব আলোচনা উপভোগ করতে পারেন, ইস্তেফাদাও করতে পারেন। সবাইকে উৎসাহিত করা মনে হয় ঠিক না।
লেখক: সিনিয়র লেখক, সাংবাদিক ও বিশ্লেষক

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ