বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১০ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভারতে ড. ইউনূসকে অসুররূপে উপস্থাপন অশোভন: ধর্ম উপদেষ্টা . বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মিডিয়া সেলের বৈঠক  ড. ইউনুসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান  খুলনা-৩ আসনে হাতপাখার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক ইসলামি রাষ্ট্র দর্শনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী নেজামে ইসলাম পার্টির দাওয়াতি মাসের উদ্বোধন সিলেটে কওমি কনফারেন্স আগামীকাল আস-সুন্নাহর পুঁজিতে সেলুন ব্যবসায় সাবলম্বী হওয়া নওমুসলিম মুজাহিদের গল্প ইসলামী যুব আন্দোলনের দাওয়াতি মাস উদ্বোধন ফরিদাবাদ মাদরাসায় ২০১৯ ব্যাচের ছাত্রদের মিলনমেলা ৪ অক্টোবর

শিশু বয়স থেকেই সন্তানকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলুন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

প্রত্যেক মা-বাবার কাছেই সন্তান পরম আদরের। আদরের বলেই তারা সন্তানকে সযত্নে আগলে রাখেন সব সময়। কিন্তু সন্তানের জন্য এই 'আগলে’ রাখাটা সবসময় কল্যাণকর নাও হতে পারে। মাঝে মধ্যে তাকে ছেড়ে দিন, তাকেও কিছু করতে দিন। তাহলে ধীরে ধীরে আপনার সন্তান হয়ে উঠবে স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী। জা পিয়াজে বলেন, ‘শৈশব থেকে সন্তানের স্বাবলম্বি হয়ে বেড়ে উঠার পথে অভিভাবকদের তিনটি ধাপ মনে রাখতে হবে। প্রথম ধাপ, সেই শিশুর আশপাশের জগৎ, দ্বিতীয় ধাপ, যোগ্য সংমিশ্রণ, তৃতীয় ধাপ, তাদের পরিণত হয়ে ওঠা।’  

শুরুতেই শুরু করুন

সন্তানকে শিশু বয়সেই মা-বাবা কেয়ার করেন বেশি। কেয়ার করেন ভালো কথা। আরও ভালো হয় যদি এই বয়স থেকেই তার প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু করেন। প্রথমেই তাকে নিজের কাজ নিজে করতে শেখান। সেটাও যেন হয় ধীরে ধীরে। আপনি তার কাজ করে দিচ্ছেন, তাকে শেখান কিভাবে কাজটা করতে হয়। জামাটা মাঝে মধ্যে সন্তানকে গুছিয়ে রাখতে দিন। কিভাবে স্কুল ব্যাগ গোছাতে হয় সেটা হাতে-কলমে শেখান। একসময় আপনার সন্তান নিজেই তার ব্যাগ গোছাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। তার জামাটা সে নিজেই গুছিয়ে রাখবে।

বিশ্বাস রাখুন সন্তানের উপর

একজন মানুষের বিশ্বাস অন্যকেও প্রভাবিত করে। ‘আপনার সন্তান পারবে’ সেই বিশ্বাসটা রাখুন। অনেকে মনে করেন ও তো এখনো ছোট, এই কাজটা সে কিভাবে করবে। এমনটা না বলি। একটু বড় হলেই তাকে ঘরেরও টুকটাক কাজ করতে দিন। এ সময় আপনি তার পাশে থাকলেও তাকে কাজটা করতে দিন  স্বাধীনভাবে ।

ভুল হলেই বকা নয়

যে কাজ করে ভুল তারই হয়। যে কিছু করে না, তার ভুল হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। সন্তান যখন ছোট বযসে বিভিন্ন কাজ করতে শুরু করবে প্রথমদিকে তার ভুল হতেই পারে। ভুল হয়ে গেলেও তাকে বকাঝকা করা যাবে না। আদর করে তাকে ভুলটা ধরিয়ে দিন। দেখবেন, সেই কাজটা যদি আবার করতে দেন সে আর ভুল করবে না।

সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না

আপনি যদি আপনার সন্তানকে স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে চান তাকেও ছোটখাটো বিষয়ে  সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা দিন। সব সময় আপনার সিদ্ধান্ত সন্তানের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না।  স্কুলে বা মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় কোন জামাটা পরবে, অমুক কাজটা সে কিভাবে করবে- এসব সিদ্ধান্ত যদি তাকে নিতে দেন তাহলে সে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।

পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে শেখান

জীবন চলার পথে মানুষকে বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়। কোন পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নিতে হয় সন্তানকে শেখান সেটাও। এজন্য তাকে বিভিন্ন পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করান। এবং সে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখেন। তাকে বুঝিয়ে বলুন এ পরিস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্তের কী ফলাফল হতে পারে।

পড়াশোনার ব্যাপারে স্বাধীনতা দিন

প্রত্যেক মা-বাবা সন্তানের পড়াশোনার ব্যাপারে এ টু জেড দেখভাল করেন। এটা ঠিক নয়। মাঝে মধ্যে তাকে পড়া বুঝিয়ে দিয়ে নিজে নিজে পড়ার উৎসাহ দিতে হবে। বুঝতে দিন কিছুটা পড়া তাকে নিজেকেই করতে হবে। স্কুল বা মাদ্রাসার পড়া সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভালো করে জেনে আসতে বলুন। এবং নিজে নিজেই হোমওয়ার্ক করতে বলুন।

এভাবেই ধাপে ধাপে সন্তানকে স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। সন্তানের এভাবে বেড়ে উঠার পেছনের বেশির ভাগ সময় বড়রাই বাধা হয়ে দাঁড়ান। সেটা না করে বরং তাকে কঠিন পৃথিবীতে কীভাবে চলতে হবে সেটা শেখান।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ