মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

যমুনায় চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নদী ভাঙনে শঙ্কিত এলাকাবাসী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

লিটন আহমেদ, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর, দৌলতপুরে ‘হাত বদল করে’ আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। তীব্র নদী ভাঙন, চলছে অবৈধভাব বালু উত্তোলন। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে একটি হাইস্কুল, মুজিব কেল্লা, আশ্রয়ন প্রকল্প, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। নতুন করে ভাঙনের মুখে পড়ছে অনেক ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা । ভাঙন আতঙ্কে শঙ্কিত নদী পারের সাধারণ মানুষ। অবৈধ ড্রেজার বন্ধে ও ভাঙন রোধে সম্প্রতি  মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভাগীরা। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযাগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে অভিযাগ করছে স্থানীয়দের। প্রশাসন বলছে, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে নিয়মিত মামলা অর্থদণ্ড প্রদান করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুরের যমুনা নদীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় পরিচয়ে অনেকেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করেছে। এ কাজ এবার আওয়ামী লীগ না থাকলেও সক্রিয় হয়েছে বিএনপি নামধারীরা। বরাবরই রাজনৈতিক পরিচয় চিহ্নিত ব্যক্তিরা প্রশাসন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ কর নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ভাঙনকবলিত আলাকদিয়া চলাঞ্চলের বাসিন্দা মোকলেছ মিয়া বলেন, যারা নদী থেকে মাটি তোলে তারা দলীয় প্রভাবশালী । আমরা এদের কিছু বলত পারি না। আপনাদের  লেখার মাধ্যম যদি কিছু করতে পারেন। নদীর মাঝ ৭ নং টাওয়ারের আশপাশের এলাকায় কাটার মেশিন দিয়ে দফায় দফায় মাটি কাটছে। এরা আমাদের গ্রামটি শেষ করে দিয়েছে। আমাদর এ গ্রামটি দীর্ঘ দুই মাইল লম্বা ছিল। বর্তমান তা হাফ-কিলামিটারও নাই। অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারণে গ্রামরে বাকি অংশও কখন যেন নদীতে চলে যায়। এছাড়া রাহাতপুর, চরবষ্টমী, টেংগুরহাটা ও আশ্রয়ণ প্রকল্প সবই নদীতে চলে গেছে।

স্থানীয় একজন প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, এখন শুধুমাত্র হাত বদলের মাধ্যমে একই কায়দায় মুষ্ঠিমেয় নেতাকর্মীরা পকেট ভারি করার জন্য এমন কাজ আবার শুরু করছে। যা দেখার যেন কেউ নেই।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুল আলম বলেন, যমুনা নদীতে মাটি কাটার বিষয়ে আমরা গত সপ্তাহে অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে এমন কর্মযজ্ঞের বিরুদ্ধে দ্রুতই আবার ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ