শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ পরিকল্পনার প্রতিবাদে ২ লাখ ইহুদির বিক্ষোভ চার দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ৪৯তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফি নিয়ে বেফাকের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি চীনের চিকিৎসার আপডেট জানালেন মাওলানা ইনআমুল হাসান ফারুকী মানুষ এখন চায় ইসলামি শক্তি ক্ষমতায় আসুক: গাজী আতাউর রহমান লেবার পার্টি মনোনীত আনারস প্রতীকের ৭৫ সংসদ সদস্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ সহকারী প্রধান শিক্ষকের ঘুষিতে নারী শিক্ষক আহত, সাতদিনেও মেলেনি বিচার সৎ, বিশ্বস্ত ও আলেম নেতৃত্বকে সংসদে পাঠাতে হবে: মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম তোমাকে খুব মনে পড়ে মা

কারাগারে নিয়োগ অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কারারক্ষী পদে বদলি এবং নিয়োগে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে তদন্ত প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারা মহাপরিদর্শকের প্রতি এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

একইসাথে রুল জারি করে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলেছে।

কারারক্ষী পদে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেও চাকরি না পাওয়া মৌলভীবাজারের জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি রিটটি করেন।

রিটে ‘আরেকজনের নাম-পরিচয়ে চাকরি, ১৮ বছর পর তদন্ত’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনসহ গণমাধ্যমে আসা একাধিক খবর যুক্ত করা হয়।

জহিরুল চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর একটি আবেদন দেন। এতে ফল না পেয়ে তিনি রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তার সাথে ছিলেন আইনজীবী মোঃ আবুল কালাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। সাথে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আওলাদ হোসেন।

গতকাল মঙ্গলবার শুনানিতে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, রিট আবেদনকারীর (জহিরুল) পরিবর্তে ১৮ বছর ধরে আরেকজন চাকরি করছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ৮৮ কর্মচারীর (কারাগার) মধ্যে তিনজন অন্যের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ছদ্মবেশে চাকরি করে আসছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে। তাদের মধ্যে দু’জনকে অপসারণ করা হয়েছে, একজন চাকরিতে আছেন।

শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশের জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে এবং আদালত আদেশ দেন।

হাইকোর্ট জহিরুলের আবেদনটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সালে কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন জহিরুল। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশি যাচাই (ভেরিফিকেশন) হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি আর যোগদানপত্র পাননি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ১৮ বছর পর জানতে পারেন, তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে একই পদে চাকরি করছেন আরেকজন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ