ভিকারুননিসা নূন স্কুলে শিক্ষার্থীদের হিজাব পরা নিয়ে হয়রানি এবং হবিগঞ্জে দাড়ি রাখার কারণে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান, সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ ও মাওলানা জাকির হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন—শিক্ষা ও সামাজিক পরিমণ্ডলে ধারাবাহিকভাবে ইসলামবিরোধী বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে।
তারা অভিযোগ করেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখায় ষষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাদের “হিজাব পরলে জঙ্গির মতো লাগে” বলে কটাক্ষ করা হয়েছে, যা সংবিধানপ্রদত্ত মৌলিক অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন। তারা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের মর্যাদা রক্ষার দাবি জানান।
অন্যদিকে হবিগঞ্জে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী দাড়ি রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করায় কর্তৃপক্ষ যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাকেও বৈষম্যমূলক ও ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “দাড়ি রাখা অপরাধ নয়; বরং এটি ওয়াজিব এবং ইসলামী চেতনার প্রকাশ। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে দাড়ি রাখার কারণে পুলিশ সদস্যদের লঘুদণ্ড দেওয়া সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের শামিল।”
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—অবিলম্বে উভয় ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী মুসলিম জনতা ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে, যার দায়ভার সরকারের ওপর বর্তাবে বলে বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়।
এসএকে/