রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


আওয়ার ইসলাম জরিপ: টিকটক বন্ধের পক্ষে শতভাগ পাঠক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| কাউসার লাবীব ||

দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক বন্ধের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই বৈঠকে টিকটক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, টিকটক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এই অ্যাপটি নেতিবাচকভাবে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড, গুজব ও অপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। পরে তিনি এই অ্যাপটি বন্ধের সুপারিশ করেন।

এদিকে সংসদীয় কমিটির এ সুপারিশের পরপর আওয়ার ইসলামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পাঠক জরিপ দেয়া হয়। জানতে চাওয়া হয় ‘টিকটক বন্ধের সুপারিশ সংসদীয় কমিটি। আপনি কি এটি বন্ধের পক্ষে?’

গত ২২ ঘণ্টা আগে দেয়া এই জরিপ পোস্টে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন তিন শতাধিক পাঠক। এর মধ্যে শতভাগ মতামতই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ভিডিও এপটি বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন।

মতামতে এমডি রানা ভাই নামে একজন লিখেছেন, ‘অবশ্যই বন্ধ করা হোক। যুবক-যুবতীরা এটি দিয়ে এখন অশ্লীল ভিডিও তৈরি করছে।’

ইমরান আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, এরকম আরো যত এপস আছে সেগুলোসহ সব বন্ধ করা হোক।

শাহরিয়ার বিন আলআমীন নামে একজন লিখেছেন, ‘বন্ধের নাম নিয়ে আবার ফ্রি ফায়ার এর মত হবে নাকি! নামে বন্ধ কামে চালু।

হাবীব আল মাহবুব নামে একজন লিখেছেন, ‘বেহায়াপনা থেকে এদেশের যুব সমাজকে বাঁচাতে টিকটক বন্ধ করা ফরজ হয়ে দাড়িয়েছে।’

রাতারাতি সেলিব্রিটি হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় এখন টিকটক। অল্প সময়ে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে অ্যাপটি। বিশ্বের প্রায় ৭৫টি ভাষায় এই অ্যাপটি বানানো হয়েছে। ১ বিলিয়নবারেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। এপটির রিভিউ রয়েছে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি। বর্তমানে ফানি ও শর্ট ভিডিওর সর্ববৃহৎ অ্যাপ এটি।

জনপ্রিয় এই এপটি ইতোমধ্যেই বিশ্বের নানা দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে বেশ আগেই এটি নিষিদ্ধের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশেও এপটির বন্ধের আওয়াজ উঠেছে বেশ আগেই।

এদিকে দেশে টিকটক বন্ধের বিষয়ে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের ৮০ শতাংশ ব্যয় হয় টিকটক অ্যাপের পেছনে। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে প্রতিহিংসামূলক, ভুল তথ্য ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করা হয়। এর ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক ব্যবহার বেশি হচ্ছে। সব ধরনের তথ্য-উপাত্তসহ টিকটক অ্যাপ বন্ধে ইতোমধ্যে বিটিআরসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ