বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক লাফে ভরিতে ৮৩৮৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী ১৮তম জাতীয় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২০ ও ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ইহুদিদের চিঠি  গণভোট নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জটিলতা তৈরির অভিযোগ জামায়াতের ‘পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা দিতে ছয় দফা সুপারিশ চিকিৎসকদের  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারাগারে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী  ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার

বিদেশে পাচার করা অর্থে ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান: সিআইসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৫টি দেশের ৭টি শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উপস্থাপন করেছেন সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব।

রোববার (১৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও সিআইসির মহাপরিচালক প্রধান উপদেষ্টার সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৯টি দেশে মোট ৩৫২টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে কিছু বাংলাদেশি। যেগুলো টাকার বিনিময়ে নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হলো—অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, অস্ট্রিয়া, ডমেনিকা, গ্রেনেডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, নর্থ মেসিডোনিয়া, মালটা, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্ক।

আহসান হাবিব বলেন, দেশে বসেই প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পর সিআইসির কর্মকর্তারা বিদেশে সরেজমিন তদন্ত চালিয়ে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ইতোমধ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পাচারকৃত অর্থে গড়ে ওঠা ৩৪৬টি সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে, যা অনুসন্ধানের আংশিক চিত্র মাত্র। এসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও পাচারের সঙ্গে জড়িতদের সাজা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সিআইসি।

তিনি আরও জানান, ছয়টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য কেবল ‘টিপ অব দ্য আইসবার্গ’। আরও তথ্য উন্মোচনে সময় প্রয়োজন। শেখ হাসিনার আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডাটাবেজ (সিবিএস) থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গায়েব করা হলেও সেগুলো উদ্ধারে দক্ষতা অর্জন করেছে সিআইসি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দুদক, সিআইসি, সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে সম্পত্তি গড়তে না পারে।

তিনি সিআইসিকে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আরও বেশি দেশে অনুসন্ধান বিস্তৃত করতে হবে। দেশের সম্পদ ফেরত আনতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

অর্থনৈতিক খাতের এই লুটপাটকে ‘ভয়াবহ দেশদ্রোহিতা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর দেশ গড়তে হলে এই লুটেরাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “কিছু মানুষ কীভাবে দেশের সম্পদ লুট করেছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। এজন্য সব সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ