সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ১০ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাওলানা যাইনুল আবিদীন রচিত ‘আমাদের নবীজি’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত  রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাজ্যসহ ১১ দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকে সুকুক বিষয়ে শরিয়াহ প্রস্তাবনা প্রদান হিজাব ও দাড়ি নিয়ে বৈষম্য, জড়িতদের শাস্তি দাবি হেফাজতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ : পীর সাহেব চরমোনাই ফজলুর রহমান সময় চাইলেন ৭ দিন, বিএনপি দিল ২৪ ঘণ্টা দাড়ি রাখায় শাস্তি প্রদান ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল: জমিয়ত ফেসবুকের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে জিডি করলেন ইবনে শাইখুল হাদিস অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: ইসলামী আন্দোলন মহিলা ইউনিট বগুড়ায় সমকামিতা ও এলজিবিটিকিউ এজেন্ডার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

৩২ ধারায় মামলা হলে সাংবাদিকদের পক্ষে লড়বেন আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম 

ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা সাংবাদিকদের ঘায়েল করার জন্য নয় জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই ধারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধা হবে না। কোনো সাংবাদিক তাঁর বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য যদি ৩২ ধারায় অভিযুক্ত হন, তাহলে তিনি (আইনমন্ত্রী) নিজে বিনা পারিশ্রমিকে তাঁর (সাংবাদিক) পক্ষে মামলায় লড়বেন।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আইন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি ।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা সাংবাদিকদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে না। সাংবাদিকদের কাজ গুপ্তচরবৃত্তি নয়। তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেন বা করবেন প্রতিবেদন তৈরির স্বার্থে। সরকারের গোপন তথ্য সরকারের শত্রু বা বিদেশের কাছে সরবরাহ করার জন্য নয়।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো সাংবাদিক তাঁর বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য যদি ৩২ ধারায় অভিযুক্ত হন, তাহলে তিনি (আইনমন্ত্রী) নিজে বিনা পারিশ্রমিকে তাঁর (সাংবাদিক) পক্ষে মামলা লড়বেন।

এমনকি আইনটি পাস করার আগে সাংবাদিকদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এ সময়, সুপ্রিম কোর্টে অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানালেন আইনমন্ত্রী।

ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সভাপতি আশুতোষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি এম. বদি-উজ-জামান, সহসভাপতি মাশহুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম পান্নুসহ অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়। এর মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করলেও নতুন আইনে ৫৭ ধারার বিষয়বস্তুগুলো চারটি ধারায় ভাগ করে রাখা হয়েছে। এ জন্য আলাদা আলাদা শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। আইসিটি আইনে ৫৭ ধারায় মানহানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোসংক্রান্ত বিষয়গুলো একত্রে ছিল।

নতুন আইনের ৩২ ধারা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি উঠেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বেআইনিভাবে প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার অতিগোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্ত্র, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে সেই কাজ হবে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তাহলে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে।

 

/এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ