হিজাব পরায় শিক্ষার্থীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া এবং দাড়ি রাখার কারণে পুলিশ সদস্যদের শাস্তি প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৪ আগস্ট রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন শিক্ষার্থী হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশ করলে ইংরেজি শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার তাদের বের করে দেন এবং “জঙ্গির মতো দেখায়” বলে মন্তব্য করেন। ইসলামী ছাত্রসমাজের দাবি, এ ঘটনা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী ও ধর্মীয় বিধানকে অবমাননা করার শামিল।
এদিকে গত ২১ আগস্ট হবিগঞ্জে বাংলাদেশ পুলিশের তিন কনস্টেবল—দুলাল মিয়া, হৃদয় আহমেদ ও ইফতেখার হোসেন সুমন—কে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাড়ি রাখার অভিযোগে শাস্তি হিসেবে “পিডি” প্রদান করা হয়। সংগঠনটির মতে, এটি মুসলিম নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণের সামিল।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ অভিযোগ করে বলেছে, মুসলিম প্রধান এই রাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপ পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা অভিযুক্তদের বহিষ্কারসহ উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায় এবং ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ রোধে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান করে।
সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকলে এর দায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।
এমএইচ/