মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ১০ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাওলানা যাইনুল আবিদীন রচিত ‘আমাদের নবীজি’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত  রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাজ্যসহ ১১ দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকে সুকুক বিষয়ে শরিয়াহ প্রস্তাবনা প্রদান হিজাব ও দাড়ি নিয়ে বৈষম্য, জড়িতদের শাস্তি দাবি হেফাজতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ : পীর সাহেব চরমোনাই ফজলুর রহমান সময় চাইলেন ৭ দিন, বিএনপি দিল ২৪ ঘণ্টা দাড়ি রাখায় শাস্তি প্রদান ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল: জমিয়ত ফেসবুকের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে জিডি করলেন ইবনে শাইখুল হাদিস অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: ইসলামী আন্দোলন মহিলা ইউনিট বগুড়ায় সমকামিতা ও এলজিবিটিকিউ এজেন্ডার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাজ্যসহ ১১ দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে তৈরি হওয়া সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ১২টি পশ্চিমা দেশ। ২০১৭ সালে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আট বছর পূর্তিতে দেশগুলো এ বিবৃতি দেয়।

বিবৃতি প্রদানকারী দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড।

১২টি দেশের ঢাকার দূতাবাস এ বিষয়ে গতকাল রোববার নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, আট বছর পেরোনোর পর দেশগুলো মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সেই কর্মকাণ্ড স্মরণ করছে, যার ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক মানুষকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। এখনো আশ্রয়শিবিরে থাকতে নতুন করে লোকজন আসছে।

বিবৃতিতে দীর্ঘদিন ধরে কঠিন বাস্তবতা ও বাস্তুচ্যুতি সহ্য করা এবং রাখাইনে অবনতিশীল নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতিতে দৃঢ়তা দেখানোর জন্য রোহিঙ্গাদের সহনশীলতার দেশগুলো সাধুবাদ জানায়।

১১টি দেশ নতুন করে আসা রোহিঙ্গাসহ শিবিরে সবার আশ্রয়, নিরাপত্তা ও জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজেদের ভূমিতে ফিরে যেতে চায় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের প্রত্যাবাসনের সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এখনো সীমান্ত পেরিয়ে বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। রাখাইনে অনেক রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে। মিয়ানমারে এখন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যাতে তারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে ও স্থায়ীভাবে ফিরে যেতে পারে। এ শর্ত পূরণ করতে হলে বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলোর সমাধান প্রয়োজন। আর এ সমাধানের জন্য প্রয়োজন একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার।

এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়—এমনটা স্বীকার করে দেশগুলো বিবৃতিতে মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ ও প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার এক পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া ও রাখাইনে আরাকান আর্মির ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশকে নতুন জটিলতার মুখে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ধন্যবাদ জানায়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ