বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সুপ্রিমকোর্টের সামনে মূর্তি মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

pir_shahebআওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ভাস্কর্যের নামে সুপ্রিমকোর্টে দেবির মূর্তি স্থাপনকে পশ্চিমা সংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান অধ্যুষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সামনে সর্বোচ্চ আইনদাতা হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.এর নাম স্থাপিত হলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক দেবি লেডি জাস্টিজের মুর্তি স্থাপন করে মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির মানে হচ্ছে আত্মপরিচয়। মানুষের বিশ্বাস, আচরণ ও জ্ঞানের সমন্বিত প্যাটার্নকে বলা হয় সংস্কৃতি। ভাষা, সাহিত্য, ধর্ম ও বিশ্বাস, রীতি-নীতি, সামাজিক মুল্যবোধ, উৎসব, শিল্পকর্ম ও আইন-কানুন প্রভৃতি সবকিছু নিয়েই সংস্কৃতি। লেডি জাস্টিজ-এর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের সাংস্কৃতিক কোন অনুষঙ্গেরই অংশ নয়।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলিম সংস্কৃতিতে হিরো কাল্ট বা বীরপূজার প্রচলন নেই। তিনি বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির যে উপাদান মুসলমানের তৌহিদের বা একত্বের পরিপন্থি মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি আরো বলেন, উৎসব হোক বা স্মৃতি রক্ষা হোক, নিজস্ব প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-নীতি বা রীতি-রেওয়াজের অনুশীলন কাম্য। কেননা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের রয়েছে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক চেতনা। রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। মূর্তি বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের সংস্কৃতি নয়। তাই অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট চত্ত্বরে স্থাপিত মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় ঈমান রক্ষার তাগিদে ঈমানদার জনতা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ