শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
গ্যালিয়াম: হাতে নিলেই গলে যায় এমন আশ্চর্য এক ধাতু   মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মসজিদে নববীর ইমামের মতবিনিময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পথেই হাঁটছে বিএনপি: শায়খে চরমোনাই সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামির দোষ স্বীকার নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে: সিইসি জমিয়তের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থী ঘোষণা বিকেলে, চলছে মতবিনিময় ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন হজযাত্রীরা  উত্তরায় খেলাফত মজলিসের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও মেডিসিন বিতরণ ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরসহ তিন স্থাপনায় হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলা ‘চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ’

নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে: খেলাফত মজলিস


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংস্কার, বিচার ও সবার জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার ছাড়া একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ এবং পরিচালনা করেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, “আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা ইতিবাচক হলেও, সেই নির্বাচনের জন্য দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ প্রস্তুত নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, পেশীশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। জনআকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে।”

নেতারা জানান, গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ যথেষ্ট প্রত্যাশা তৈরি করলেও এতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উপেক্ষিত হয়েছে। খেলাফত মজলিসের মতে, ঘোষণাপত্রে ২০০৮ সালের ‘পাতানো নির্বাচন’ এবং ১/১১ সরকারের কার্যক্রমের প্রতি পরোক্ষ বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।

তারা আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেমন—২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে দমন-পীড়ন, এবং ২০২১ সালের নরেন্দ্র মোদীর আগমনের সময় গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা—এসব ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে।”

সভায় নেতারা দাবি করেন, এসব ‘ত্যাগ ও তিতিক্ষার’ ইতিহাস বাদ দিয়ে তৈরি ঘোষণাপত্র “অপূর্ণাঙ্গ ও জাতির জন্য হতাশাজনক”। তারা অবিলম্বে ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানান।

খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, “নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। গণহত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আবু তানজিম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শায়খুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মো. জিল্লুর রহমান, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ নুর হোসেন, মো. আবুল হোসেন, আলহাজ আমির আলী হাওলাদার, অ্যাড. মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ