বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে তাদের মূলোৎপাটন প্রয়োজন: হেফাজত ‘মুফতি আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা উস্কানি ও ষড়যন্ত্রের অংশ’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ: ইনকিলাব মঞ্চ জুলাই শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকমেলার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা, নিহত ৪ জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কাল গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রেজওয়ানা হাসান গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা, সারা দেশে যুবশক্তির ‘বাংলা ব্লকেড’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ধামরাই থানা কমিটি পুনর্গঠন

ইসির ওয়েবসাইটে যুক্ত হলো জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার পর এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত হলো জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ও দলটির নাম। রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন নম্বর- ১৪ দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নাম ও প্রতীক দাঁড়িপাল্লা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসি কর্মকর্তারা।

১৯৮৬ সাল থেকে নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিল জামায়াত। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিধান চালু করে। ২০০৮ সালে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন পায় জামায়াতে ইসলামী। এরপর দলটির গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। এরপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। 

সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। তবে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন। এ রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। ওই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। তবে জামায়াতের আইনজীবীর অনুপস্থিত থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে এক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনকে প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ না দিতে এবং কাউকে প্রতীক দিয়ে থাকলে তা বাতিল করতে চিঠি দেয়। নির্বাচন কমিশন সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে স্থানীয় নির্বাচন ও পরে ২০১৭ সালে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি বাদ দিয়ে দেয়। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির নিবন্ধন সনদও বাতিল করে ইসি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর মাত্র কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগ সরকার অঙ্গ সংগঠনসহ জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে সরকার পতনের পর ২৮ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আগের নির্বাহী আদেশ বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এরপর ২০২৩ সালে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবনের (রিস্টোর) জন্য আবেদন করে জামায়াত। গত ২২ অক্টোবর বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য পুনরুজ্জীবনের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর কয়েক দফা শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আদেশে বলেন, দলটির ক্ষেত্রে পেন্ডিং (অনিষ্পন্ন) গঠনতন্ত্র ও রেজিস্ট্রেশন ইস্যু এবং অন্য কোনো ইস্যু যদি থেকে থাকে, তা সাংবিধানিক ম্যান্ডেট পুরোপুরি প্রয়োগ করে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেওয়া হলো।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ