বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন ইসলামী আন্দোলন কর্মী মাসরুর যুব জমিয়তের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা এবার দেশের মানুষ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় চায়: পীর সাহেব চরমোনাই ট্রাম্পের হুমকিতে নতি স্বীকার করবেন না মামদানি ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলেনি হামাস  ‘জুলাই শহীদ’ স্বীকৃতি পাচ্ছেন রোহিঙ্গা যুবক নূর মোস্তফা গাছ শুধু পরিবেশের বন্ধু নয়, এটি একটি সদকায়ে জারিয়া: শিবির নেতৃবৃন্দ বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে নয় : এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঝিনাইদহে সাপ নিয়ে খেলতে গিয়ে  জীবন গেলো কিশোরের আলেমদের আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

জামায়াত নিয়ে পুরনো বক্তব্য থেকে একচুলও সরিনি: শায়খে চরমোনাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি আগে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাতে অটল আছেন। সেখান থেকে একচুলও নড়েননি। জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো জোট হচ্ছে না, এটা নির্বাচনী সমঝোতা। সেটা যে কারও সঙ্গেই হতে পারে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

‘ইসলাম ধ্বংস করতে জামায়াতই যথেষ্ট’ নিজের পুরনো বক্তব্য সম্পর্কে শায়খে চরমোনাইকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন। জবাবে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘কোনো একটি বিষয়ের ওপর ঐকমত্য হলে একই মঞ্চে আসা যায়। তার মানে কেউ কারও আদর্শ বিসর্জন দেয়নি। আমি জামায়াত নিয়ে আমার পুরনো বক্তব্য থেকে একচুলও সরিনি। তেমনি জামায়াত নেতারাও আমাদের বিরুদ্ধে অতীতে যেসব বক্তব্য দিয়েছে সেগুলো থেকে তারা পিছু হটেনি।’

মহাসমাবেশে জামায়াত ছাড়াও এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কিছু দলের নেতারা ছিলেন। কিন্তু বিএনপির কেউ ছিল না কেন? এ প্রসঙ্গে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে যেসব দল পিআর (আনুপাতিক ভোটদান) পদ্ধতির বিষয়ে একমত তাদের দাওয়াত করা হয়েছিল। বিএনপি এতে রাজি নয় বলে তাদের দাওয়াত করা হয়নি। পিআর সিস্টেমে তারা রাজি হলে সামনে তাদেরও দাওয়াত করা হবে।’

সাম্প্রতিক একাধিক বক্তব্যে বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেছেন সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতি আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষিপ্ত হইনি। মূলত তাদের চাঁদাবাজি, দলীয় কোন্দল, মারামারি, কাটাকাটি দেখে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমি জনগণের মুখপাত্র হিসেবে বিএনপির এসব কাজের সমালোচনা করছি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, মাজার খারাপ কিছু নয়। কেউ যদি সেখানে সেজদা দেয়, তাকে বুঝিয়ে তা থেকে বিরত রাখতে হবে। মাজার ভাঙার কাজ থেকে সবাইকে ফিরে আসার আহ্বান করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে আমরা যে শরিয়া আইন চালু করবো সেখানে কিন্তু হিন্দুরাও অধিকার পাবে। সংখ্যালঘুদের অধিকারও বাস্তবায়ন করা হবে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ