বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

‘প্রশাসনের সকল স্তর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উৎখাত করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
'বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি'র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ

সম্মিলিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে গভীর চক্রান্ত চলছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে দেশকে অকার্যকর ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। সকলকে সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে হবে। রাজনৈতিক বিভাজন থাকলেও ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী পতিত শক্তির প্রেতাত্মাকে নির্মূল করতে হবে।

আজ শনিবার (২ নভেম্বর) ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল 'বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি'র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের 'সাধারণ সভা' পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাধারণ সভায় এমন বক্তব্য দেন নেতৃবৃন্দ ।

সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন আমীরে নেজাম আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী।

আমীরে নেজাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, প্রশাসনে গতি সঞ্চার করতে বিপ্লবের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রধান দোসর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করে বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে।

মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নিত্য পণ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের কার্যালয় খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম আত্মঘাতী হবে। দেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলজুড়ে অজস্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। গুম-খুন ছাড়াও বিডিআর হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যার পরেও নির্বিঘ্নে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম রাখতে পেরেছিল শেখ হাসিনা। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি জাতিসংঘ। তাই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাগুজে মানবাধিকার সংস্থার অফিস ঢাকায় হোক, তা দেশের জনগণ চায় না। ইউরোপীয় কালচার সমকামীদের অধিকারের বিষয়টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। আর তা বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ এবং শরীয়াহ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুতরাং মানবাধিকার কার্যালয়ের নামে বাংলাদেশে সমকামিতা প্রমোট করার চক্রান্ত বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, নায়েবে আমীর আলহাজ্ব আব্দুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী, সংগঠন সচিব মাওলানা আবু তাহের খান, দপ্তর সচিব মুফতী দ্বীনে আলম হারুনী, মাওলানা আতাউল্লাহ হুসাইনী, সমাজ কল্যাণ সচিব মাওলানা এরশাদ বিন জালাল, সহসাংগঠনিক সচিব মাওলানা এনামুল হক কুতুবী, বানিজ্য বিষয়ক সচিব আলহাজ্ব শাকিরুল হক খান, প্রচার সচিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, মাওলানা আনোয়ার হুসাইন রাব্বানী,  এস এম নাজিমুদ্দিন, মাওলানা ফরহাদ আলম,  মাওলানা আমানুল হক আমান, মুফতি আব্দুস সাত্তার, এসএম হোসেন, এডভোকেট নিজামুদ্দিন নিজাম, মুফতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী ও ছাত্রসমাজ মহাসচিব বিএম আমীর জিহাদীসহ প্রমুখ।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ