মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

রাজনৈতিক পন্থায় পার্বত্য জেলায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে: হেফাজত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিরতা ফেরাতে সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী কর্তৃক সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান নেতৃদ্বয়।

তারা বলেন, পার্বত্য জেলায় চলমান অস্থিরতাকে আমরা বাইরের আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখছি। এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে শলাপরামর্শ করুন। পার্বত্য জেলার নিরীহ বাঙালি ও উপজাতি সবাই আমাদের ভাই-বোন। সবাই বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে সমঝোতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেখানকার স্থানীয় দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সাথেও আলোচনায় বসে সমন্বয়পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। 

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্তের বাস্তবতায় এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশবিরোধী পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে দমন করতে হবে। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে দেশের শত শত দেশপ্রেমিক ঈমানদার যুবক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাশে থাকবে। 

তারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর l শেখ মুজিব কর্তৃক ‘বাঙালি পরিচয়’ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার হঠকারিতা থেকেই পাহাড়ে অশান্তির শুরু। কিন্তু পরবর্তীতে মরহুম জিয়াউর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় পরিচয় হিসেবে বাংলাদেশী জাতীয়তা গৃহীত হওয়ার মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলার উপজাতিরা আত্মপরিচয়ের সঙ্কট থেকে মুক্তি পায়। আমাদের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় স্বীকার করার পাশাপাশি কোটাব্যবস্থার মাধ্যমে পাহাড়ি উপজাতিদেরকে দেশের মূলধারার জনসমাজের সাথে সংযুক্ত করারও ব্যবস্থা করেছে। অথচ পাহাড়ি বাঙালিরা সুবিধাবঞ্চিত সত্ত্বেও কোনো কোটা সুবিধা তাদের দেয়া হয় না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের পাহাড়ে আদিবাসী বলে কিছু নেই। তরুণ প্রজন্মের জানতে হবে, ইতিহাসের রেকর্ড অনুসারে প্রায় ২৫০-৩০০ বছর আগে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী এই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো বার্মা, ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও আশপাশের অঞ্চল থেকে এসে বসতি গড়েছে। ১৯৯৭ সালে উপজাতি হিসেবেই তাদের সাথে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল কখনো বাঙালিদের ‘উপনিবেশ’ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়নি। ফলে কোনো দিক থেকেই তাদের আদিবাসী বলার যৌক্তিকতা দাঁড়ায় না। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলকে আমাদের ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বহু পুরনো। বিভিন্ন খ্রিস্টান মিশনারী এই উদ্দেশ্যে সেখানে এখনো সক্রিয়। এছাড়া পশ্চিমা ফান্ডের লোভে দেশের কিছু এনজিও এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ‘আদিবাসী’ প্রচারণায় তৎপর রয়েছে। এদেশের সেনা-জনতা বাংলাদেশবিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়িত হতে দেবে না ইনশাআল্লাহ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী যে কোনো চক্রান্ত আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ