||মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী||
একটা গল্প বলি। কয়েক বছর আগে। চিল্লার জামাতে ছিলাম পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে। বাদ ফজর এক সাথীর বয়ান।
স্বভাবতই বাদ ফজর একটা ঘুম ঘুম ভাব থাকে।
মিম্বরের পাশে সবাই জড়ো হলাম। সাথীদের মাঝে একজন ছিলেন সাবেক আর্মি। একটু রাগী স্বভাবের। তিনি বসলেন একদম মিম্বরের সামনে।
বয়ানে বসছেন একজন পুরানো সাথী। বয়ান করেন খুব চমৎকার। কিন্তু এ সাথীর একটা অভ্যাস হলো: কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করেন: ‘ঠিক না অঠিক?’ অন্য কথা আস্তে বললেও ‘ঠিক না অঠিক’ প্রশ্নটা তিনি বেশ জোরেশোরে বলে থাকেন।
তো বয়ান চলছে। মাঝেই চলছে ‘ঠিক না অঠিক’ ডায়লগও। সামনে বসা আর্মি সাথী বসে বসে ঝিমুচ্ছিলেন। যখনি ‘ঠিক না অঠিক’ জোরে বলা হচ্ছিল, তখনি তিনি ধুম করে সোজা হতেন। বয়ান শুরু হতেই আবার ঝিমুতে থাকতেন। আর যখনি ‘ঠিক না অঠিক’ জোরে আওয়াজ শুনতেন তার ঝিমুনি বন্ধ হয়ে সম্বিত ফিরে পেতেন।
এভাবে বেশ ক’বার হবার পর তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে জোরেই বলে উঠলেন: ‘তুমি বয়ান কর, তোমার সবই ঠিক’।
ঘুম ঘুম চোখেও প্রচণ্ড হাসি পেল। অনেক কষ্টে হাসি চেপে রেখেছিলাম।
আসলেইতো বক্তার বক্তব্য কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক হলে সবইতো ঠিক। ‘কথা কন ঠিক কি না’, ‘ঠিক কি না জোরে বলে ‘ এতো জিজ্ঞাসা করতে হয় কেন?
লেখক: পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা
এনএইচ/