মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান

গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের মামলা আইসিসিতে পাঠানোর আহ্বান টবি ক্যাডম্যানের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলো হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বসনিয়া, কসোভো, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধ মামলার অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে কাজ করতে পারে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় বলা হয়, কিছু অভিযুক্ত বিদেশে পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সুরক্ষা পাচ্ছে, তাই আইসিসির কমপ্লিমেন্টারিটি নীতির অধীনে সহযোগিতা জরুরি, যাতে এই অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা যায়।

টবি ক্যাডম্যান আইসিটির আইনি কাঠামোতেও সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করা, যাতে এটি আগের স্বৈরাচারী সরকারের (শেখ হাসিনার শাসন) প্রভাব থেকে মুক্ত বলে প্রতীয়মান হয়।

তিনি আরও বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা এবং ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়াগত সাক্ষ্য আইন সংযোজন করা দরকার।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস আইসিটি প্রসিকিউশন টিমের কাজের প্রশংসা করেন এবং বলেন, তাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলা আইসিসিতে পাঠানো হবে কি না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বকে জানতে হবে যে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১,৪০০ শিক্ষার্থী, প্রতিবাদকারী ও শ্রমিকদের হত্যার আদেশ কে দিয়েছিল এবং প্রধান অপরাধীরা কারা ছিল। জাতিসংঘের তদন্ত মিশন শেখ হাসিনা সরকারের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন করেছে। এখন আমাদের অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বৈঠকে শেখ হাসিনা সরকারের লুট করা সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও পুনরুদ্ধার করা নিয়েও আলোচনা হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ