রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ।। ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জমিয়ত আজ যা বলে কালও তাই বলে: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিএনপিও আ.লীগের মতো হত্যার রাজত্ব কায়েম করেছে: নুর বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির’ রাজনীতি বন্ধ করতে বলল হেফাজত পাথর মেরে হত্যার নিন্দা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান জমিয়তের ইয়ামিনকে গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার ‘চাঁদাবাজিতে আতঙ্কগ্রস্ত জাতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন’ মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: শায়খে চরমোনাই গাজায় ইসরায়েলি ব্যর্থতা ও প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশলগত উত্থান জুলাই যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিতে হবে: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ‘নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও খুনিদের ঠাঁই হবে না’

ড. ইউনূসের মেগাফোন কূটনীতিতে অস্বস্থিতে ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার মেগাফোন কূটনীতিতে চাপের মুখে পড়েছে ভারত।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবিসির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সম্পাদক আনবারাসান ইথিরাজান দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন।

শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থি হিসেবে দেখা হয়। তার সময়ে অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিক দিয়ে বেশ ভালো সময় পার করছে। এমনকি নিরাপত্তাগত দিক দিয়েও সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে। কেননা তিনি ভারতবিরোধী গোষ্ঠীকে কঠোর হাতে দমন ও সীমান্তের অমীমাংসিত কিছু বিষয় নিষ্পত্তি করেছেন। তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের মধ্যে এক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ড. ইউনূসের বার্তায় বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাক্ষাৎকার দেন ড. ইউনূস। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে না ফেরানো পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করতে হলে, তার চুপ থাকা উচিত। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য চাপ বাড়ছে।

ড. ইউনূস বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত ও বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এ সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। তার এমন মন্তব্যের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে তারা এমন মন্তব্যে হতাশ হয়েছেন।

ভারতের সরকারি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছে তারা। এ ছাড়া নয়াদিল্লি এসব মন্তব্যের বিষয়গুলো নথিভুক্ত করছে।

ভারতের সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, মেগাফোন কূটনীতির মাধ্যমে ড. ইউনূস ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি অমীমাংসিত বিষয়গুলো মিডিয়ার সামনে আনার চেষ্টা করছেন।

জেএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ