দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার অনন্য কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন শুক্রবার (১১ জুলাই)। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ সালের রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান—প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যুত্থানে তার কবিতা হয়ে উঠেছিল মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস।
১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি আল মাহমুদ। দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে বাংলা সাহিত্যের ষোলো কলা পূর্ণ করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কবির জন্মদিন উপলক্ষে ভক্ত-অনুরাগীদের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে স্মরণ ও সাহিত্যআলোচনার নানা আয়োজন। শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা, স্মরণসভা ও আবৃত্তির অনুষ্ঠান। আয়োজন করছে কালের কলস ও কালের ধ্বনি। এতে উপস্থিত থাকবেন দেশের খ্যাতনামা শিল্প-সাহিত্যিকগণ।
একই দিন সকালে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ আয়োজন করেছে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক একটি সেমিনার।
বাংলা একাডেমির সূত্রে জানা গেছে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি জুলাই মাসেই এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তবে এখনো দিন-তারিখ নির্ধারণ হয়নি। এছাড়া ১২ জুলাই বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে আয়োজিত হবে কবিতা পাঠ, স্মৃতিচারণ ও আড্ডা।
তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে আল মাহমুদের জন্মবার্ষিকী পালিত না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কবিপ্রেমীরা। তারা জানান, “বিগত স্বৈরশাসনের সময় কবি আল মাহমুদ অবহেলা ও উপেক্ষার শিকার হন। অথচ তার কবিতা ছিল জুলাই বিপ্লবসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতার প্রেরণার উৎস। তিনি বাংলা সাহিত্যের ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন।”
তারা আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লবের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে কবিকে সম্মান জানানো উচিত। আমরা চাই, কবির লেখনী পাঠ্যপুস্তকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক এবং তাঁর সাহিত্যচর্চা ও গবেষণার লক্ষ্যে ‘আল মাহমুদ ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হোক।”
এমএইচ/