বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী আজ গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এটা অন্তর্বর্তী সরকারের অনধিকার চর্চা। যা ২৪ এর গণঅভুত্থানের শহীদদের রক্তের সাথে চরম গাদ্দারী ও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে ভারতীয় আধিপত্যকে উৎখাত করেছে, পশ্চিমাদের দাসত্ব করার জন্য নয়।
তিনি বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষার দোহাই দিয়ে তারা দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে নাক গলাবে। ইসলামি মূল্যবোধের ওপরও আঘাত হানবে। নারী-পুরুষের সমতা বিধানের নামে তারা বাংলাদেশে বলবৎ ইসলামের উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালাবে। সার্বজনীন যৌন শিক্ষার নামে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবাধ যৌনাচার, জিনা-ব্যভিচার, সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারের দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা চালাবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দানসহ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কোন অপতৎপরতা দেশপ্রেমিক জনতা কখনো মেনে নিবে না।
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে একজন সমকামী ব্যাক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে তার সমকামী পার্টনারকে নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করতে চান। যা বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক হুমকি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই একজন সমকামীকে ৯২ ভাগ মুসলিম দেশে আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাচ্ছে।
একজন সমকামী যখন বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে প্রতিনিধিত্ব করবেন তখন তার কার্যালয় সমকামীদের দরবারে পরিণত হবে। সমকামিদের প্রমোট করবে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সমকামী প্রতিনিধিকে প্রতিহত এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিল করতে হবে।
এনএইচ/