চিয়া সিডকে পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সুপারফুড বলা হয়। এতে দুধ, ডিম, কলা, পালংশাক, এমনকি স্যামন মাছের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও এতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন—কোয়েরসেটিন, ক্যাফিক অ্যাসিড, কেম্পফেরল ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা দেহের বিভিন্ন কোষগত ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক।
বর্তমানে ওজন কমানো, হজমশক্তি বাড়ানো, ত্বক ও চুলের যত্নে অনেকেই চিয়া সিড খাচ্ছেন। সাধারণত পানি, দুধ, স্মুদি বা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে এটি খাওয়া হয়।
তবে হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে ডারমাটলজিস্ট ডা. জুষ্যা ভাটিয়া সারিন সতর্ক করে জানান, চিয়া সিড উপকারী হলেও কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে পাঁচ ধরনের মানুষের জন্য চিয়া সিড এড়িয়ে চলাই ভালো:
১. কিডনি রোগে আক্রান্তরা
চিয়া সিডে প্রচুর পটাশিয়াম ও ফসফরাস থাকায় এটি কিডনির জন্য অতিরিক্ত চাপের কারণ হতে পারে।
২. গ্যাস্ট্রিক বা হজমে সমস্যা থাকলে
চিয়া সিড পেটে ফুলে ওঠে। ফলে যাদের গ্যাস, পেট ফাঁপা বা হজমজনিত সমস্যা আছে, তাদের পেট ব্যথা, ক্র্যাম্প বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে শুরু করা ও পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
৩. রক্তচাপ কম থাকলে
চিয়া সিড রক্তচাপ আরও কমিয়ে দিতে পারে, ফলে মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই যাদের প্রেসার স্বাভাবিকের নিচে থাকে, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
৪. রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলে
অ্যাসপিরিন বা ওয়ারফারিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে চিয়া সিডস রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫. তিল, ফ্ল্যাক্সসিড বা সরিষায় অ্যালার্জি থাকলে
চিয়া সিডেও ক্রস-অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার ফলে চুলকানি, লাল দাগ বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস