শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ আমরা একজোট হয়ে ভারতকে জবাব দেব: মাওলানা ফজলুর রহমান পটিয়ার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান দানিশের ইন্তেকাল নারী সংস্কার কমিশনের কিছু ধারা কোরআন-সুন্নাহর খেলাপ: জামায়াত আমির  ‘নারী সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা’ ঐতিহাসিক দারোগা বাগানের ৩ একর জায়গা উদ্ধার করলেন বন বিভাগ  পেহেলগাম হত্যার তীব্র নিন্দা দারুল উলুম দেওবন্দের অবশেষে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করল পাকিস্তান হজযাত্রায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর! পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা

শশুর বাড়ির হাদিয়া : ইসলাম কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

মাহফুজ বিন হামিদ

বিয়ের সময় নিজ কন্যাকে হাদিয়া  দেওয়া হাদিস এসেছে। সুন্নতও বটে।  স্বয়ং নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নিজ কন্যাদের বিবাহের সময় সাধ্য অনুযায়ী উপঢৌকন দিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরামের কর্মনীতি থেকেও এর প্রমাণ মিলে।

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমার বিয়েতে একটি মখমলী চাদর, একটি পানির মশক এবং একটি চামড়ার বালিশ উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। (মুসনাদে আহমদ ১/৮৪)

অন্য হাদিসে এসেছে হজরত জাবের রা.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সাদ ইবনে রাবি রা.এর স্ত্রী সাদের ঔরশে জন্ম নেয়া দুই কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে নবীজির কাছে এসে অভিযোগ করলেন, হে আল্লাহ রাসুল! এরা সাদ ইবনে রবির মেয়ে। ওদের পিতা আপনার সাথে ওহুদ যুদ্ধ শরিক হয়ে শাহাদাত বরণ করেছে। চাচারা তাদের সম্পত্তি কবজায় নিয়ে রেখেছে। তাদেরকে কোন সম্পত্তিই দিতে চাচ্ছে না। ওদিকে সম্পদহীন তাদের বিয়ে দেয়া যাচ্ছে না। (আবু দাউদ ২/৪০০)

বিয়েরপর উপহারের নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নেই।  পিত্রালয় থেকে আনন্দচিত্তে যা দেবে সেটা উপহার বলে সাব্যস্ত হবে। তবে শর্ত হল লৌকিকতার জন্যে না হওয়া এবং বর পক্ষের দাবি-দাওয়া ও আবদারের প্রেক্ষিত না হওয়া।

এখানে স্মরণীয় বিষয় হলো বিয়ের পর কন্যাকে উপহার দেয়ার কারণে মিরাছ থেকে তাকে বঞ্চিত করা যাবে না। বিয়ের খরচ বা উপহারকে মিরাছ বলে চালিয়ে দেওয়া চরম জুলুম। পরকালে এর নির্মম শাস্তি রয়েছে।

হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সা. বলেছেন যে ব্যক্তি উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত করবেন। (ইবনে মাজাহ ১/১৯৪)

হুআ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ