মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনি লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন মসজিদ পরিচালনার নতুন অ্যাপ মাসাজিদ হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা জাকির নায়েককে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে স্মারকলিপি সুদান সংঘাত: নেপথ্যে আমিরাত-ইসরায়েল? ‘মতানৈক্য থাকতে পারে, কিন্তু মতবিরোধ যেন না হয়’, দেশে ফিরে জামায়াত আমির ইবনে শাইখুল হাদিসের পছন্দের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নেপথ্যে কী? ধানের শীষের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা! ইসরায়েলপ্রীতি ছাড়লেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সম্ভব: খামেনি

শশুর বাড়ির হাদিয়া : ইসলাম কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

মাহফুজ বিন হামিদ

বিয়ের সময় নিজ কন্যাকে হাদিয়া  দেওয়া হাদিস এসেছে। সুন্নতও বটে।  স্বয়ং নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নিজ কন্যাদের বিবাহের সময় সাধ্য অনুযায়ী উপঢৌকন দিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরামের কর্মনীতি থেকেও এর প্রমাণ মিলে।

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমার বিয়েতে একটি মখমলী চাদর, একটি পানির মশক এবং একটি চামড়ার বালিশ উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। (মুসনাদে আহমদ ১/৮৪)

অন্য হাদিসে এসেছে হজরত জাবের রা.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সাদ ইবনে রাবি রা.এর স্ত্রী সাদের ঔরশে জন্ম নেয়া দুই কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে নবীজির কাছে এসে অভিযোগ করলেন, হে আল্লাহ রাসুল! এরা সাদ ইবনে রবির মেয়ে। ওদের পিতা আপনার সাথে ওহুদ যুদ্ধ শরিক হয়ে শাহাদাত বরণ করেছে। চাচারা তাদের সম্পত্তি কবজায় নিয়ে রেখেছে। তাদেরকে কোন সম্পত্তিই দিতে চাচ্ছে না। ওদিকে সম্পদহীন তাদের বিয়ে দেয়া যাচ্ছে না। (আবু দাউদ ২/৪০০)

বিয়েরপর উপহারের নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নেই।  পিত্রালয় থেকে আনন্দচিত্তে যা দেবে সেটা উপহার বলে সাব্যস্ত হবে। তবে শর্ত হল লৌকিকতার জন্যে না হওয়া এবং বর পক্ষের দাবি-দাওয়া ও আবদারের প্রেক্ষিত না হওয়া।

এখানে স্মরণীয় বিষয় হলো বিয়ের পর কন্যাকে উপহার দেয়ার কারণে মিরাছ থেকে তাকে বঞ্চিত করা যাবে না। বিয়ের খরচ বা উপহারকে মিরাছ বলে চালিয়ে দেওয়া চরম জুলুম। পরকালে এর নির্মম শাস্তি রয়েছে।

হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সা. বলেছেন যে ব্যক্তি উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত করবেন। (ইবনে মাজাহ ১/১৯৪)

হুআ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ