পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ইরানকে ‘অবশ্যই’ সমঝোতায় আসতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি এ ইস্যুতে ইরান দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে— তাহলে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা এবং আরও ধ্বংস ও মৃত্যু দেশটিকে দেখতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “ইতোমধ্যে ( ইরানে ) অনেক মৃত্যু ও ধ্বংস হয়েছে, পরবর্তী হামলাগুলো আরও নিষ্ঠুর হবে এবং সব কিছু শেষ করে দেবে; কিন্তু এখনও এই ধ্বংস থামানোর সুযোগ আছে।”
“ইরানকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে এবং সেটি হতে হবে সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই…তাই যতদ্রুত সম্ভব সমঝোতায় আসুন। আর কোনো ধ্বংস নয়, কোনো মৃত্যু নয়। ঈশ্বর আপনাদের সবাইকে আশীর্বাদ করুন।”
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারবে না। পাশাপাশি, দেশটি ফের কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসবে বলে আশাও প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের আট শহরে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ১০০ স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, সশস্ত্র বাহিনীর অভিযাত শাখা দ্য রেভোল্যুশনারী গার্ড কোরের প্রধান কমান্ডার হোসাইন সালামি, পরমাণু বিজ্ঞানী ও ইরানের পরমাণু সংস্থার প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসি এবং পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ তেহরানচি নিহত হয়েছেন।
তেল আবিব বলছে, তেহরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী অভিযানের শুরু হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে তাদের সামরিক বাহিনী।
হামলা শুরুর কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি।”
“কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়েছে ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ । আমাদের এই সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ইরানি হুমকি প্রতিরোধ করা। যতদিন না এই হুমকি বন্ধ হচ্ছে, ততদিন এ অভিযান চলবে।”
এমএম/