শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ আমরা একজোট হয়ে ভারতকে জবাব দেব: মাওলানা ফজলুর রহমান পটিয়ার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান দানিশের ইন্তেকাল নারী সংস্কার কমিশনের কিছু ধারা কোরআন-সুন্নাহর খেলাপ: জামায়াত আমির  ‘নারী সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা’ ঐতিহাসিক দারোগা বাগানের ৩ একর জায়গা উদ্ধার করলেন বন বিভাগ  পেহেলগাম হত্যার তীব্র নিন্দা দারুল উলুম দেওবন্দের অবশেষে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করল পাকিস্তান হজযাত্রায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর! পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা

উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর: মুসলিমদের উদ্বেগ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

শোয়াইব আস-সফাদী :  ভারতের বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ধর্মীয় আইনের স্থলে একক দেওয়ানি বিধান চালু করা হয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, এই আইন সমাজে "সমতা" আনবে এবং “কুপ্রথা দূর করবে”। তবে মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে এটি তীব্র অস্বস্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

আইনটি বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ও লিভ-ইন সম্পর্ক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অভিন্ন বিধান নিশ্চিত করতে প্রণীত হয়েছে। আইনের সমর্থকরা বলছেন, এটি মুসলিম নারীদের বহুবিবাহ থেকে রক্ষা করবে এবং তাদের জন্য সমান সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি হিন্দু পিতৃতান্ত্রিক রীতিনীতি চ্যালেঞ্জ করে না এবং মুসলিম ব্যক্তিগত আইনকে অসমভাবে প্রভাবিত করছে।

মুসলিম নেতারা এই আইনের সমালোচনা করে একে "হিন্দু কোড" আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আঘাত। জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ ও অন্যান্য সংগঠন এই আইনের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে।

অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসমা জেহরা বলেছেন, "এই আইন ইসলামোফোবিয়ার একটি প্রকাশ এবং আমাদের ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর আক্রমণ।"

আইনটি লিভ-ইন সম্পর্ক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। এর লঙ্ঘনকারীদের তিন মাসের জেল বা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী গীতা লুথরা বলেছেন, "এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকারের পরিপন্থী।"
গোয়া বাদে উত্তরাখণ্ড হলো ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকর হয়েছে। এই উদ্যোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলেও, এর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রভাব নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
সূত্র: আলজাজিরা

হুআ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ