শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

অতিরিক্ত চা খেলে হতে পারে যেসব ক্ষতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সারাদিনে চায়ের স্বাদ একবারও নেন না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। আবার অনেকেরই দিনভর কয়েক বার চা ছাড়া চলে না। দুধ-চিনি ছাড়া লিকার খেলে তেমন কোনও অসুবিধা না থাকলেও ঘন ঘন দুধ, চিনি সহযোগে চা খেলে ধীরে ধীরে দেখা দিতে পারে নানা রকম শারীরিক সমস্যাও। চলুন জেনে নাওয়া যাক কী কী ক্ষতি হতে পারে এতে।

ওজন বৃদ্ধি

অনেকেই আছেন যাদের চায়ে অন্তত ২ চামচ মিষ্টি না হলে চলে না। আবার অনেকে ঘন দুধের চা পছন্দ করেন। দিনে তিন থেকে চার বার চা খেলেই অন্তত ৬-৮ চামচ চিনি যাবে শরীরে। সঙ্গে ঘন দুধের ফ্যাট তো আছেই। চিকিৎসকেরা বলেন, অতিরিক্ত চিনি শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। শরীরচর্চার অভ্যাস না থাকলে, ক্যালোরি মেপে না খেলে দুধ, চিনি দেওয়া চা হয়ে উঠতে পারেন ওজন বৃদ্ধির কারণ।

পুষ্টির ঘাটতি

ঘন ঘন চা, চিনি দিয়ে দুধ-চা খাওয়ার অভ্যাসের ফলে অনেক সময় খিদেও কমে যায়। দুপুরে খাওয়ার সময়ে এক কাপ চা খেয়ে ফেললে কিছুতেই আর খাবার খেতে ইচ্ছা হবে না। পাশাপাশি এর ফলে পানি খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। ফলে, পুষ্টি এবং জলের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। অনেকে ভাবতে পারেন, দুধ যোগ করায় বাড়তি পুষ্টিগুণ যোগ হয় চায়ে। দুধে থাকে ভিটামিন বি ১২ ও ভিটামিন সি। শুধু দুধ যদি খান, তা হলে এই দুই ভিটামিন শরীরের জন্য খুবই ভাল। কিন্তু যদি চা দিয়ে বার বার ফোটানো হয়, তা হলে এই দুই ভিটামিনেরই পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমার আশেপাশের সেরা রেস্টুরেন্ট

হজমের সমস্যা

সকালে উঠেই এক কাপ দুধ-চা খেয়ে নেয় অনেকে। তারপর থেকে শুরু হয় গ্যাসের সমস্যা। চায়ে থাকা ক্যাফিনের ফলে পাকস্থলীতে কার্যকলাপে সমস্যা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। ঘন ঘন দুধ চা খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। দুধ যাদের হজম হয় না, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। খালি পেটে কড়া করে দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস পেপটিক আলসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ঘুমের সমস্যা

সন্ধের পর থেকে বার বার চা খেলে বা রাতের দিকে চা খেলে ক্যাফেইনের প্রভাবে ঘুম আসতে চায় না। ফলে রাতে চা খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। তা ছাড়া দুধ চা থেকে যেহেতু হজমের সমস্যা হয় তাই পর্যাপ্ত ঘুমের ক্ষেত্রেও তা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।

স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব

চায়ে থাকে ক্যাফিন। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। নিয়মিত অতিরিক্ত চা খেলে ক্যাফেইনের প্রভাবে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে, রক্তচাপও অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এর প্রভাব হার্টসহ, স্নায়ু্তন্ত্রেও পড়তে পারে। অস্থিরতা, উদ্বেগের মতো সমস্যাও এর ফলে দেখা দেয়। যাদের উদ্বেগের সমস্যা আছে, বিশেষত তাদের ঘন ঘন চা খাওয়ার অভ্যাস ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ