আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামকে ধারণ করতে হবে এবং ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে নিয়ত পরিশুদ্ধ রাখা অপরিহার্য। পরিশুদ্ধ নিয়ত ছাড়া কোনো ইবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। মানবতার সেবা ও প্রতিবেশীর হক আদায় ছাড়া ক্ষমা লাভ অসম্ভব। মানুষের হক আদায় না করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রাপ্তি আশা করা ঠিক নয়। বর্তমান সময়ে অনেকে হজকে দুনিয়ার যশ-খ্যাতি বা নির্বাচনী প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে হোটেল গিভেনসি ইন্টারন্যাশনালে বেসরকারি হজ এজেন্সি ‘হজ্জ উইথ আয়েশা’র উদ্যোগে আয়োজিত হজ প্রশিক্ষণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম।
তিনি বলেন, “কখনও কখনও হজ না করেও হজ কবুলের সওয়াব লাভ করা সম্ভব—যদি নিয়ত সঠিক হয় এবং অভাবী, বিধবা ও এতিমদের প্রয়োজন পূরণ করা হয়। হজের মূল করণীয় হলো আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন, মানবিক গুণাবলী বিকাশ, এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে যোগসূত্র স্থাপন। বর্তমান সময়ে এগুলো অনেকটাই অনুপস্থিত। ‘হজ্জ উইথ আয়েশা’ হজ ও হজ-পরবর্তী কর্তব্য নিয়ে যে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘হজ্জ উইথ আয়েশা’র স্বত্বাধিকারী আয়েশা চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহসানউল্লাহ হাদী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান চৌধুরী, আবিদ হোল্ডিংসের পরিচালক টিপু সুলতান, এনসিসি ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম শফিউল্লাহ, সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ, জহিরুল হক, সালাউদ্দিন ইউসুফ ও আজিম বাবলু প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিগত বছরগুলোতে ‘হজ্জ উইথ আয়েশা’র ব্যবস্থাপনায় হজ পালনকারী অনেক হাজি। তারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করে প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এখান থেকেই হজে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভাপতি আয়েশা চৌধুরী বলেন, “আমি হজ ব্যবস্থাপনাকে ব্যবসা হিসেবে দেখি না; এটা আমার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।”
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারী ও গবেষক, ফুরফুরা শরীফের খলিফা পীরজাদা শায়খ ওমর ফারুক সিদ্দিকী আল নোমানী।
এসএকে/