মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মৌলভীবাজার-০৪ আসনের জমিয়তের প্রার্থী শেখ নূরে আলম হামিদী খাগড়াছড়িতে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, ভোগান্তি চরমে কুয়াকাটার ৫ কোটি টাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক: অপরিকল্পিত ও অনিয়মের অভিযোগ হকের উপর অবিচল থাকলে বিজয় অবশ্যম্ভাবী: মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী প্রবাসীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ, পাকিস্তানের স্বাগত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুরে ককটেল ও নাশকতার সরঞ্জামসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪ কর্মী আটক

গাজায় দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের মাঝেই কোরআনের হাফেজ হলেন তিন বোন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকি ছবি

গাজায় যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বাস্তুচ্যুতি ও বোমা হামলার আশঙ্কার মধ্যেও এক বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ফিলিস্তিনের তিন বোন। প্রায় একই সময়ে তারা সম্পন্ন করেছেন পবিত্র কোরআন হেফজ।

শনিবার (৯ আগস্ট) আলজাজিরা মুবাশিরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বড় বোন ড. নিদা আল-মিসরির (২২) সহায়তায় ছোট তিন বোন—হাল্লা (২০), আলমা (১৭) ও সামা (১৫)—এই সাফল্য অর্জন করেন। নিদা নিজে ২০২৩ সালে কোরআনের হাফেজ হন।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বসবাসকারী এই পরিবার যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে কয়েক দফা বাস্তুচ্যুত হয়। গত ডিসেম্বরে খান ইউনিস থেকে রাফায়, পরে আল-মাওয়াসি এলাকার তাঁবুতে স্থানান্তরিত হতে হয় তাদের। তবুও হেফজযাত্রা থামেনি।

তাদের বাবা কামিল মোহাম্মদ আল-মিসরি মেয়েদের কৃতিত্বে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আমি গোটা পৃথিবীর মালিক।” তিনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বড় মেয়ে নিদার ভূমিকার প্রশংসা করেন।

হাল্লা জানান, তাঁবুর জীবন, অনাহার, তীব্র গরম ও গোলাবর্ষণ সবকিছুর মধ্যেও তারা একে অপরকে উৎসাহ দিয়ে লক্ষ্য পূরণ করেছেন। সামা বলেন, যুদ্ধ তাদের সংকল্প ভাঙতে পারেনি। আলমা এই যাত্রাকে জীবনের সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, শীতের কনকনে ঠান্ডা আর গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমেও তারা হেফজ চালিয়ে গেছেন।

এখন এই পরিবারের বাড়িতে রয়েছেন চারজন কোরআনের হাফেজ, যা তাদের কাছে এক অবর্ণনীয় আনন্দের বিষয়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখেরও বেশি আহত হয়েছেন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ