সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ২ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন বিনা টিকিটে রেলওয়ে ভ্রমণ, এক দিনেই ১৪ লাখের বেশি টাকা আদায় সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির

কারাগার কেবলই শাস্তির স্থান নয়,  সংশোধনাগারও: ধর্ম উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কারাবন্দিদের মানবাধিকার রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কোনো ব্যক্তি গ্রেফতার হলেই তিনি অপরাধী নাও হতে পারেন। মিথ্যা মামলায়ও অনেকে আটক হতে পারে। সামাজিক কারণেও অনেকে মিথ্যা মামলায় আটক হন। যতক্ষণ আদালত কর্তৃক কাউকে দোষী সাব্যস্ত না হয় এবং শাস্তি দেওয়া না হয় ততক্ষণ তাকে অপরাধী বলা যাবে না।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ কারাগারটি ব্রিটিশ আমলের। এখানে আসামিদের স্থান সংকুলান হয় না। আসামিদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এ কারাগারের আরেকটি ইউনিট চালু করে স্থান সংকুলান সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কারা অভ্যন্তরে উপাসনার ব্যবস্থা থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কারাগার কেবলই শাস্তির স্থান নয়,  এটি সংশোধনাগারও বটে। এখানে কোনো উপাসনালয় নেই। মুসলমানদের জন্যও নেই, হিন্দুদের জন্যও নেই। তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে অন্তত একটি কক্ষে মুসলমানদের এবং একটি কক্ষে হিন্দুদের উপাসনার ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। এ কাজে তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

কারাগারে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা চালুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. খালিদ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কারাগারে ধর্মীয় শিক্ষক নিযুক্ত করে কারাবন্দিদের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটানো সম্ভব। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে। 

ধর্ম উপদেষ্টা আদালতে আসামিদের ডিজিটাল হাজিরা ও দর্শনার্থীদের জন্য অনলাইনে সময়সূচি অবহিত করাসহ কারাগারের আধুনিকীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি এ সকল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সময় ডিআইজি প্রিজন টিপু সুলতান, সিনিয়র জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম এবং বেসরকারি কারা পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য হিসেবে ধর্ম উপদেষ্টা চট্টগ্রামে বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় মিলিত হন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ