মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভারতের পুনে দুর্গে নামাজ আদায় করা নিয়ে দেশভর তোলপাড় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: শায়খে চরমোনাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ' নামের পত্রিকা : স্বাধীনতার ৩৩ বছর আগের এক ঐতিহাসিক দলিল ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হওয়ার খবরটি ভুল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নাতির কাছে কায়দা শিখছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ারের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ: এনসিপি ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস এ৩৩০ সম্পন্ন হলো আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নওগাঁ জেলা শাখা পুনর্গঠন মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা আদালতের

নামাজ আদায়ের স্থান পবিত্র হওয়া আবশ্যক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মোহাম্মাদ হুজাইফা ||

প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের জন্য দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হলো—ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা। এছাড়াও হাদিসে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, আওয়াবিনসহ বহু নফল নামাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নামাজ সহিহ হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো—নামাজ আদায়ের স্থান পবিত্র হতে হবে। যদি জায়গাটি অপবিত্র হয়, তবে সেই নামাজ শুদ্ধ হবে না এবং তা পুনরায় আদায় করতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে—নামাজ কোথায় আদায় করা যাবে? হাদিসে এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আমাকে ছয়টি বিষয়ে অন্যান্য নবীগণের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে:
১. সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর বক্তব্য প্রদান,
২. এক মাস দূরত্বে অবস্থান করেও শত্রুর অন্তরে ভীতি সঞ্চার,
৩. গনিমতের সম্পদ আমার জন্য হালাল করা,
৪. সমগ্র ভূমিকে আমার জন্য পবিত্র ও নামাজের উপযুক্ত করা,
৫. আমাকে সমগ্র মানবজাতির প্রতি নবী করে পাঠানো,
৬. আমার মাধ্যমে নবুয়তের ধারাবাহিকতা শেষ করা।” (মুসলিম, হাদিস: ৫২৩)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, সমগ্র জমিনই মূলত নামাজের উপযোগী ও পবিত্র। তবে যেখানে স্পষ্টভাবে নাপাক বা অপবিত্র বস্তু রয়েছে, সেখানে নামাজ আদায়ের আগে স্থানটি পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। আর যদি সেই অপবিত্রতা শুকিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়, তবে সেখানে নামাজ আদায় করা যাবে।

তবে কিছু নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ আদায় করা নিষেধ। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সমগ্র জমিনই নামাজের স্থান, তবে কবরস্থান ও গোসলখানায় নামাজ আদায় করা যাবে না।” (তিরমিজি, হাদিস: ৩১৭) অন্য বর্ণনায় আরও কিছু স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন: উটের বাসস্থান, ডাস্টবিন, ও কসাইখানা।

তদুপরি, এমন কোনো স্থানে নামাজ আদায় করা মাকরুহ, যেখানে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা অন্যদের কষ্ট হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ