সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ ।। ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৯ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্যচেষ্টায় পিআর কি বাধা হয়ে দাঁড়াবে? রাতে চরমোনাই যাচ্ছে এনসিপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আবু সাঈদ-মুগ্ধদের জাতীয় বীর ঘোষণা করতে হাইকোর্টের রুল যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানল ভাঙ্গায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলোচনা সভা আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার পেছনে রাশিয়ার স্বার্থ কী কারাবন্দি ধর্মপ্রাণ যুবকদের মুক্তির দাবিতে বাঙালী মুসলিম যুব সংঘের মানববন্ধন ডেঙ্গুতে আরো ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৩০ জন জুলাই অভ্যুত্থনে আহতদের জন্য বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার উদ্যোগ ২২ মুসলিমকে হত্যা; কাশ্মিরে শহীদ দিবস পালন ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি

কাশ্মিরে শহীদ দিবস ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দি, সেনা ঘেরাটোপে শ্রীনগর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাশ্মিরে শহীদ দিবস পালন ঠেকাতে আবারও দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। ১৩ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি ঠেকাতে রবিবার শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকা ঘিরে ফেলে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয় খাজা বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সেতুগুলো। বিশেষ করে ১৯৩১ সালের আন্দোলনে শহীদ ২২ কাশ্মিরির সমাধিস্থল ঘিরে নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

কাশ্মিরি নেতাদের অভিযোগ, এদিন সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক যানবাহনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়; শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর যানবাহন চলাচলের অনুমতি ছিল।

এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে জানান, তাকে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি লেখেন, “আমার বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে, বাইরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে। এটা যেনো জেলখানা।” তিনি আরও বলেন, “মাত্র একটি কবরস্থানে মানুষকে যেতে দিতেই এই বিপুল নিরাপত্তা! এটা এক ভয়ঙ্কর বার্তা।”

বিশ্লেষক ও কাশ্মিরি নেতাদের মতে, শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের স্মরণ করাও যদি দমন করা হয়, তবে সেটি গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই জম্মুতে তৎকালীন ডোগরা শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ২২ জন কাশ্মিরি নিহত হন। তাদের স্মরণে দীর্ঘদিন ধরে এই দিনটিকে ‘কাশ্মির শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো এবং এটি সরকারি ছুটিও ছিল। তবে ২০১৯ সালে মোদি সরকার কর্তৃক জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর থেকে ভারতীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে ওই দিনটির গুরুত্ব মুছে দিতে চায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবারও ন্যাশনাল কনফারেন্স দল শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাইলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়।

পরে শ্রীনগর পুলিশ এক ঘোষণায় জানায়, “শহরে কোনো ধরনের জমায়েত বা জনসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।”

ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র তানভীর সাদিক বলেন, “১৩ জুলাই কেবল ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ নয়, এটি আত্মত্যাগ, ন্যায় ও মর্যাদার প্রতীক। শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের স্মরণ করাই আমাদের কর্তব্য।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ