শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

কাশ্মিরে শহীদ দিবস ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দি, সেনা ঘেরাটোপে শ্রীনগর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাশ্মিরে শহীদ দিবস পালন ঠেকাতে আবারও দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। ১৩ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি ঠেকাতে রবিবার শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকা ঘিরে ফেলে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয় খাজা বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সেতুগুলো। বিশেষ করে ১৯৩১ সালের আন্দোলনে শহীদ ২২ কাশ্মিরির সমাধিস্থল ঘিরে নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

কাশ্মিরি নেতাদের অভিযোগ, এদিন সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক যানবাহনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়; শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর যানবাহন চলাচলের অনুমতি ছিল।

এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে জানান, তাকে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি লেখেন, “আমার বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে, বাইরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে। এটা যেনো জেলখানা।” তিনি আরও বলেন, “মাত্র একটি কবরস্থানে মানুষকে যেতে দিতেই এই বিপুল নিরাপত্তা! এটা এক ভয়ঙ্কর বার্তা।”

বিশ্লেষক ও কাশ্মিরি নেতাদের মতে, শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের স্মরণ করাও যদি দমন করা হয়, তবে সেটি গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই জম্মুতে তৎকালীন ডোগরা শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ২২ জন কাশ্মিরি নিহত হন। তাদের স্মরণে দীর্ঘদিন ধরে এই দিনটিকে ‘কাশ্মির শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো এবং এটি সরকারি ছুটিও ছিল। তবে ২০১৯ সালে মোদি সরকার কর্তৃক জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর থেকে ভারতীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে ওই দিনটির গুরুত্ব মুছে দিতে চায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবারও ন্যাশনাল কনফারেন্স দল শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাইলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়।

পরে শ্রীনগর পুলিশ এক ঘোষণায় জানায়, “শহরে কোনো ধরনের জমায়েত বা জনসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।”

ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র তানভীর সাদিক বলেন, “১৩ জুলাই কেবল ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ নয়, এটি আত্মত্যাগ, ন্যায় ও মর্যাদার প্রতীক। শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের স্মরণ করাই আমাদের কর্তব্য।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ