সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় খেলাফত মজলিসের শোক আলেমে রাব্বানী ক্বারী তৈয়ব (রহ.)-এর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুলের হাতে ফুল তুলে দিলেন সারজিস ‘কোরবানির চামড়া লবণজাত করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার’  আওয়ামী ‘দোসরদের’ রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ টঙ্গীতে ইমামদের উদ্যোগে সিরাত প্রতিযোগিতা ডাকসু নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার পূর্ব নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে ডাকসু নির্বাচন : ঢাবি প্রশাসন

কাশ্মিরে শহীদ দিবস ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দি, সেনা ঘেরাটোপে শ্রীনগর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাশ্মিরে শহীদ দিবস পালন ঠেকাতে আবারও দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। ১৩ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি ঠেকাতে রবিবার শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকা ঘিরে ফেলে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয় খাজা বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সেতুগুলো। বিশেষ করে ১৯৩১ সালের আন্দোলনে শহীদ ২২ কাশ্মিরির সমাধিস্থল ঘিরে নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

কাশ্মিরি নেতাদের অভিযোগ, এদিন সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক যানবাহনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়; শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর যানবাহন চলাচলের অনুমতি ছিল।

এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে জানান, তাকে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি লেখেন, “আমার বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে, বাইরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে। এটা যেনো জেলখানা।” তিনি আরও বলেন, “মাত্র একটি কবরস্থানে মানুষকে যেতে দিতেই এই বিপুল নিরাপত্তা! এটা এক ভয়ঙ্কর বার্তা।”

বিশ্লেষক ও কাশ্মিরি নেতাদের মতে, শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের স্মরণ করাও যদি দমন করা হয়, তবে সেটি গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই জম্মুতে তৎকালীন ডোগরা শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ২২ জন কাশ্মিরি নিহত হন। তাদের স্মরণে দীর্ঘদিন ধরে এই দিনটিকে ‘কাশ্মির শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো এবং এটি সরকারি ছুটিও ছিল। তবে ২০১৯ সালে মোদি সরকার কর্তৃক জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর থেকে ভারতীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে ওই দিনটির গুরুত্ব মুছে দিতে চায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এবারও ন্যাশনাল কনফারেন্স দল শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাইলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়।

পরে শ্রীনগর পুলিশ এক ঘোষণায় জানায়, “শহরে কোনো ধরনের জমায়েত বা জনসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।”

ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র তানভীর সাদিক বলেন, “১৩ জুলাই কেবল ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ নয়, এটি আত্মত্যাগ, ন্যায় ও মর্যাদার প্রতীক। শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের স্মরণ করাই আমাদের কর্তব্য।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ