শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

ওয়াক্‌ফ আইনের নতুন সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় মুসলমানদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের সরকার কর্তৃক পাসকৃত "ওয়াক্‌ফ আইন ২০২৫" দেশটির মুসলিম জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আইনটি ইসলামী ওয়াক্‌ফ ব্যবস্থার উপর প্রযোজ্য আইনি ও প্রশাসনিক কাঠামোতে মৌলিক সংস্কার নিয়ে এসেছে।

যদিও সরকারের দাবি, এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো ওয়াক্‌ফ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা, তবে আইনটি ভারতের আইনজ্ঞ, একাডেমিক মহল ও মুসলিম সমাজে ব্যাপক বিতর্ক ও অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে।

ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ও বিরোধী দলগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই আইনটি ভারতের সংবিধানে মুসলিমদের যে ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে তা লঙ্ঘন করছে। কারণ এটি সংখ্যালঘুদের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকারের পরিপন্থী এবং ধর্মীয় বহুত্ববাদের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সমালোচকদের মতে, আইনটির উদ্দেশ্য হলো মুসলিম ওয়াক্‌ফগুলোর স্বাধীনতা খর্ব করা, মুসলমানদের প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়া এবং সরকার কর্তৃক এসব সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ বিস্তারের পথ সুগম করা। বিশেষ করে, মুসলিম ওয়াক্‌ফ ব্যবস্থাপনায় অমুসলিমদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করার বিধানটি সবচেয়ে বিতর্কিত।

বিরোধীরা সতর্ক করেছেন যে, এই আইন ওয়াক্‌ফ ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা হ্রাস করবে এবং এমনসব সামাজিক ও আইনি পরিণতি ডেকে আনবে যা মুসলিম সমাজের জন্য ক্ষতিকর। ভারতের মুসলমানরা শিক্ষা, ধর্মীয় আচার, দাফন-কাফন, সমাজকল্যাণ এবং গরিব-দুঃস্থদের সহায়তার মতো মৌলিক পরিষেবায় ব্যাপকভাবে ওয়াক্‌ফ প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নির্ভরশীল।

ভারতে ইসলামী ওয়াক্‌ফ ব্যবস্থার সূচনা ১৩শ শতকের গোড়ার দিকে হয়, যখন সুলতান মোয়িজউদ্দিন মোহাম্মদ ঘোরী মুলতানে একটি জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য বিস্তীর্ণ জমি ওয়াক্‌ফ করেন। পরবর্তীতে দেশজুড়ে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।

মুসলিমরা ইসলামী শিক্ষার আলোকে এসব ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি পরিচালনা করে থাকে এবং এসব সম্পদের আয় তারা মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন জনহিতকর কাজে ব্যয় করে মুসলিম সমাজের সেবা প্রদান করে।

আইএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ